গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
মুক্ত বেগম খালেদা জিয়ার অস্তিত্বকে অন্যায়-অবিচারের ধারক মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনগণের নেত্রীকে হাজারো বাধার মুখেও আটকিয়ে রাখা যাবে না জেনেই তাঁর জীবনকে নিঃশেষ করে দেয়ার যাবতীয় আয়োজন চালিয়ে যাচ্ছে ভোটারবিহীন সরকার। শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
সরকারের মনুষ্যত্বহীন অমানবিকতার বিরুদ্ধে দেশবাসী ক্ষুব্ধ ও প্রতিবাদে সোচ্চার হচ্ছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, আমরা এই মূহুর্তে দেশনেত্রীর মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার জন্য জোরালো আহবান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, কখনো বাকশালের নামে, কখনো উন্নয়নের নামে কন্ঠের স্বাধীনতাকে কেড়ে নিয়েছে, কেড়ে নিয়েছে অন্তর্ভুক্তিমূলক বহুমাত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা। সৃষ্টি করেছে এক ভয়ঙ্কর ভয়ের পরিবেশ। এবার বিজয় দিবসের সূবর্ণ জয়ন্তী হলেও দেশে বর্তমানে গণতন্ত্র হত্যাকারীরা ক্ষমতায়। এই মূহুর্তে বাকস্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা, সভা-সমাবেশের স্বাধীনতাসহ মৌলিক মানবাধিকার হরণ করা হয়েছে। দেশে গণতন্ত্রের বিকাশের স্থানে নাৎসীবাদের বিকাশ লাভ করেছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ক্ষমতায় চিরস্থায়ীভাবে টিকে থাকার মোহ থেকেই আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী বারবার গণতন্ত্রকে জবাই করেছে। আর এটি করতে গিয়ে সারাদেশকেই বধ্যভূমিতে পরিণত করেছে। তারা দেশের জনগণ, বিরোধী রাজনৈতিক দল ও বিরোধী মতের মানুষকে মনে করে ভাড়াটিয়া বা প্রজা, আর নিজেদেরকে দেশের মালিক মনে করে। তাই নির্বাচন, ভোট, মত প্রকাশের স্বাধীনতা সবকিছু বানের জলে ভাসিয়ে দিয়ে তারা নিজেদের ইচ্ছেমতো দুঃশাসন কায়েম করেছে।
আর নিহত গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এবং গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। একদলীয় বাকশালের বিষাক্ত গ্যাসচেম্বার থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের বিশুদ্ধ বাতাস বইয়ে দিয়েছিলেন দেশের শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা শহীদ জিয়াউর রহমান। সেই গণতন্ত্রের পথচলাকে আবারো বন্দুকের নলের মুখে বন্দী করেন হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ। আবারো ৯ বছরের নির্ভিক দুঃসাহসী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে বন্দী গণতন্ত্রকে মুক্ত করেন এদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাই জনগণের পক্ষে, স্বাধীনতার পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে বারবার অসীম দৃঢ়তা নিয়ে দাঁড়ানোর জন্যই বর্তমান নিশিরাতের সরকার বেগম জিয়াকে বন্দী করে রেখেছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা সাজানো মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে, অথচ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশ থেকে লক্ষ কোটি টাকা পাচার হচ্ছে প্রতি বছর। বিদেশে দেশনেত্রীর সুচিকিৎসার মৌলিক অধিকারকেও তারা অবৈধ ক্ষমতার দাপটে বাধা দিচ্ছে।
এদিকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে গতকাল সাদা পোশাকধারীরা ঢাকা মহানগর উত্তর আদাবর থানাধীন ৩০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হাসান জীবনকে তুলে নিয়ে গিয়ে এখনও পর্যন্ত তার কোন হদিস না দেয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। তিনি বলেন, সাদা পোশাকধারী আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মনোয়ার হাসান জীবনকে তুলে নিয়ে যাওয়া এবং তার কোন খোঁজ না দেয়ার ঘটনায় বর্তমান নিশিরাতের সরকারের চলমান গুমের আরেকটি নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো। মানুষকে নিখোঁজ করে দেয়ার মতো নির্দয় ঘটনাকে বর্তমান অবৈধ সরকার তাদের টিকে থাকার গ্যারান্টি হিসেবে বিবেচনা করছে। মনোয়ার হাসান জীবনকে ডিবি পুলিশই আটক করে নিয়ে গিয়ে এখন কোন হদিস দিচ্ছে না। তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তার পরিবারসহ বিএনপি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি অবিলম্বে মনোয়ার হাসান জীবনকে জনসমক্ষে হাজির করার দাবি জানান।
এছাড়া পিরোজপুরের কাউখালীতে পুলিশের নাকের ডগায় আওয়ামী ক্যাডারদের ন্যাক্কারজনক হামলা এবং কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা ও নেতাকর্মীদের আহত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানান রিজভী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।