Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সেই নারী সার্জেন্টের মামলা নিল পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ ডিসেম্বর, ২০২১, ৮:৩২ পিএম

প্রাইভেটকারের চাপায় বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত সদস্য মনোরঞ্জন হাজং এর পা হারানোর ঘটনায় দ্বারে দ্বারে ঘোরার পর অবশেষে মেয়ে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের মামলা গ্রহণ করেছে বনানী থানা। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের ডিসি মো. আসাদুজ্জামান মামলা গ্রহণের বিষয়টি জানিয়েছেন।

জানা যায়, গত ২ ডিসেম্বর মনোরঞ্জন মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বনানী চেয়ারম্যানবাড়ি ইউলুপে। এ সময় একটি প্রাইভেটকার তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে মারাত্মক আহত হন মনোরঞ্জন। হাসপাতালে নেওয়ার পর প্রথমে তার ডান পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত এবং পরে সংক্রমণ হওয়ায় হাঁটু পর্যন্ত কেটে ফেলতে হয়েছে। আগে থেকেই হার্টের রোগী অবসরপ্রাপ্ত এই বিজিবি সদস্যকে আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে দুর্ঘটনার পরই মামলা করতে বহুবার চেষ্টা করেন মনোরঞ্জনের মেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট মহুয়া হাজং। কিন্তু মামলা নেওয়া হচ্ছিল না। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই দুর্ঘটনার পর প্রাইভেটকারের চালক যুবককে আটক করেও পুলিশ ছেড়ে দেয়।মহুয়া মামলার আবেদনে গাড়িচালক যুবকের নাম উল্লেখ করার পর তাকে নামটি বাদ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় বনানী থানা থেকে। কিন্তু মহুয়া তাতে রাজি হনননি।
অপরদিকে, গুলশানে মধ্যরাতে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে এক নারী পুলিশ সার্জেন্টের বাবাকে চাপা দেওয়ার ঘটনার ১২ দিন পরও অভিযোগ গ্রহণ না করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)। পাশাপাশি দ্রæততার সঙ্গে মামলা গ্রহণ করাসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার ও নাগরিক সংগঠনগুলোর এই জোট।

বৃহস্পতিবার এইচআরএফবির সমন্বয়ক তামান্না হকের সই করা এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ ও দাবিগুলো জানানো হয়। দাবিগুলো হলো ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যাতে বিচার লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন, তা নিশ্চিত করার জন্য দ্রæততার সঙ্গে মামলা গ্রহণ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা; সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ থাকা সত্তে¡ও মামলা গ্রহণ না করার জন্য দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা; নারী সার্জেন্ট ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ; নারী সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের পেশাগত জীবনে যেন কোনো প্রকার নিরাপত্তাহীনতার সৃষ্টি না হয়, তা নিশ্চিত করা এবং আহত মনোরঞ্জন হাজংয়ের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা। ভুক্তভোগীর নৃতাত্তি¡ক কিংবা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পারিবারিক পরিচয় কোনোভাবেই যাতে বিচার লাভের অন্তরায় হয়ে না দাঁড়ায়, সেটিও নিশ্চিত করতে বলেছে এইচআরএফবি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ