পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুমিল্লার দেবিদ্বারে এক আওয়ামী লীগ নেতা বিরুদ্ধে নৌকা প্রতীককে অবমাননা করে বক্তব্য রাখার অভিযোগ উঠেছে। ওই আওয়ামী লীগ নেতা নাম মো. আবদুল আউয়াল। তিনি বড়শালঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ওই ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী। সম্প্রতি নৌকা প্রতীককে অবমাননা করে ৪৫ সেকেন্ডের একটি বক্তব্য ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, গত ১২ ডিসেম্বর রাতে মো. আবদুল আউয়াল বড় শালঘর ইউনিয়নে তাঁর একটি নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তিনি নৌকা প্রতীক না পেলেও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলে ইঙ্গিত দেন। বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি বলেন, নৌকা আসলে যে অনেক কিছু হয়ে যাবে তা না। আর নৌকা না পেলে আমিও যে একবারে পিছনে পরে যাবো তাও না। আপনারা যারা এখানে উপস্থিত প্রত্যেকে কর্মী বা ভোটার না, যদি আপনারা সক্রিয় ভূমিকা রাখেন কিসের নৌকা কিসের ছাতা, আসুক যেকোন মার্কা সমস্যা নেই আমরা নির্বাচন করব। তার এমন বক্তব্যের পর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
তৃণমূল একাধিক নেতাকর্মী বলেন, তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে থেকে নৌকা প্রতীককে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে জনগণের সামনে উপস্থাপন করেছেন। এটি নৌকা প্রতীককে অবমাননার পর্যায়ে পড়ে। তারা আরও বলেন, আবদুল আউয়াল ২০০৮ সাল পর্যন্ত বড়শালঘর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ছিলেন, বিএনপি ক্ষমতা হারালে তিনি স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার মাধ্যমে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। পরে ২০১৯ সালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান।
অভিযুক্ত আবদুল আউয়াল বলেন, আগে নৌকা প্রতীক ছাড়া ছাতা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছি। আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী নিয়েছেন আনারস প্রতীক। আমি ভোটারদের বুঝাতে বলেছি, যদি নৌকা বা ছাতা নাও পাই, আপনারা আমার কর্মী হিসেবে থাকবেন। ২০০৮ সালের আগে এ ইউনিয়নে নৌকা করার মত লোকবল ছিলো না, এখন সবাই আওয়ামী লীগ। এখানে আওয়ামী লীগ নেতারা অন্য সব দলের সাথে মিলে নির্বাচন করে। বড়শালঘর ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও দেখেছি। বিষয়টি খুবই লজ্জাজনক। এটি সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।