পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আজ থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন দিন সংসদ ভবন ও সংলগ্ন এলাকা, সংসদ ভবন থেকে ৩২ নম্বরসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ নিরাপত্তায় পুলিশের বিশেষ টিম সোয়াত ও বোম ডিসপোজাল ইউনিট ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত থাকবে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, বিজয় দিবস ও জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সংসদ ভবনের আশপাশের এলাকার প্রতিটি ভবনে পোশাকে ও সাদা পোশাকে থাকবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আমন্ত্রিত অতিথিদের নিরাপত্তা তল্লাশির মধ্য দিয়ে ভেন্যুতে প্রবেশ করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে তা কঠোরভাবে পালন করা হবে। অনুষ্ঠান ঘিরে ডিএমপি ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিজয় উৎসব ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি আজ শুরু হয়ে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত তিন দিন চলবে।
অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে শুরু করে ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবন, সংসদ ভবন চত্বরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিজয় দিবসের সকালে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে যে প্যারেড হয় সেটি আয়োজন করা হবে। এবারের প্যারেডটি বিশেষ বলে অন্যবারের চেয়ে আরও বর্ণিল ও বর্ণাঢ্য করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ডিএমপি কমিশনার জানান, বিজয় দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চার স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ডিএমপি পুলিশের পাশাপাশি থাকবে আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন, এসএসএফ ও পিজিআর। পাশাপাশি প্রতিটি ভেন্যু আগে থেকে এসএসএফ, এসবি, র্যাব ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড এবং বোম সুইপিং করা হবে। অনুষ্ঠানস্থলে যেসব ভিআইপি ও ভিভিআইপি অতিথি প্রবেশ করবেন সবাইকে নিরাপত্তা চেকিং হয়ে প্রবেশ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেগুলো পালন করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কাউকে অনুষ্ঠানে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এছাড়া সোয়াত ও বোম ডিস্পোজাল ইউনিট ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত থাকবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় নোটিশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা কাজ শুরু করবেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন। তারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে পোশাকে থাকা পুলিশকে জানাবে।
তিনি বলেন, ভিভিআইপি ও ভিআইপি অতিথিরা যেসব রাস্তা ব্যবহার করে চলাচল করবেন সেসব রাস্তা বন্ধ থাকবে। এমনকি সংসদ ভবন এলাকায় যতগুলো ভবন আছে প্রতিটি ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সংসদ ভবন এলাকা ঘিরে প্রতিটি সড়কে ডাইভারশন থাকবে।
পরীক্ষার্থীদের ব্যাপারে তিনি বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা সবাই হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হবেন। কারণ বুধবার ভারতের প্রেসিডেন্ট আসবেন। তার নিরাপত্তার স্বার্থে বেশ কিছু রাস্তা বন্ধ রাখা হবে। শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের হাতে সময় নিয়ে বের হতে অনুরোধ করব। আর যদি কোথাও আটকে যান তখন ৯৯৯ এ কল দিলে আমাদের পুলিশ সদস্যরা আপনাদের হলে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করবে।
ডিএমপি কমিশনার জানান, প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে সাতটি দেশের ৩০২ জন বিদেশি অতিথি অংশ নেবেন। তাদের জন্য আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সাধারণ মানুষের জন্য ৩, ৪, ৫, ১৪, ১৫, ১৬ নম্বর গেট খোলা থাকবে। এই গেটগুলো দিয়ে পায়ে হেঁটে প্রবেশ করতে হবে। সবাইকে স্বাস্থবিধি কঠোরভাবে মেনে নিরাপত্তা চেক হয়ে প্রবেশ করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।