Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

যেকোনো সময় ভাঙবে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

অ্যান্টার্কটিকার সবচেয়ে বড় হিমবাহগুলোর একটি থোয়েইটস। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে এই বরফখন্ডে নাটকীয় পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। থোয়েইটস একটি অতিকায় হিমবাহ। এর আকার কমবেশি ব্রিটেন অথবা ফ্লোরিডার সমান। গত ৩০ বছর ধরে এটির গলে যাওয়ার গতি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

এর সামনের যে অংশটি পানিতে ভাসতে দেখা যাচ্ছে, আপাতত সেটি স্থির থাকলেও যেকোনো সময় এটি ভেঙে চৌচির হয়ে যেতে পারে, যেমনি ফাটল ধরার পর ঝুরঝুর করে ভেঙে পড়ে গাড়ির উইন্ডস্ক্রিন। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা বিশালাকার হিমবাহটি পর্যবেক্ষণ করছেন। কারণ এটি খুব দ্রুত গতিতে গলে যাচ্ছে। বর্তমানে এই হিমবাহ থেকে প্রতিবছরে পাঁচ হাজার টন বরফ মহাসাগরে মিশে যাচ্ছে। সমুদ্র সীমায় এর প্রভাব এখনো সামান্য। কিন্তু এই হিমবাহের ওপরের দিকে যত বরফ রয়েছে, তার সব যদি গলে যায়, তাহলে সমুদ্র সীমা ৬৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।

এ রকম ভয়াবহ বিপর্যয় শত বছরে একবার আসতে পারে। কিন্তু গবেষক দল দেখতে পেয়েছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে এই হিমবাহে জমে থাকা বরফ গলার হার অনেক বেড়েছে। হিমবাহ বিশেষজ্ঞ ও ইন্টারন্যাশনাল থোয়েইটস গেøসিয়ার কোলাবরেশন প্রকল্পে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক টেড স্ক্যামবোস বলেন, ‘সম্ভবত আগামী এক দশকের কম সময়ের মধ্যেই এই হিমবাহের সামনের অংশে নাটকীয় একটি পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রকাশিত এবং অপ্রকাশিত সব গবেষণায় সেই ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে।’ গবেষকেরা বলছেন, সমুদ্রের উষ্ণ পানি হিমবাহের নিচে প্রবেশ করছে এবং সামনের অংশকে গলিয়ে দিচ্ছে। হিমবাহের আকার হিসেবে বিবেচনা করলে প্রভাবিত এলাকা তেমন বড় নয়। কিন্তু এটি নতুন এলাকার দিকে যাচ্ছে, যার মানে হলো হিমবাহ থেকে আরও বরফ গলে যাবে। সেটির ফলে গুরুতর প্রভাব পড়বে। সূত্র : বিবিসি নিউজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ