Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ট্রুডোর হস্তক্ষেপ চান কানাডার মুসলিমরা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

হিজাব পরার কারণে কানাডায় এক নারী শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার ঘটনায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সহায়তা চান মুসলমানরা। ন্যাশনাল কাউন্সিল অব কানাডিয়ান মুসলিম (এনসিসিএম) সোমবার জানায়, হিজাব পরার অপরাধে শিক্ষককে চাকরি থেকে সরিয়ে দেয়ার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর হস্তক্ষেপ চেয়ে তারা একটি আবেদনের জন্য সই সংগ্রহ করছেন।

কুইবেকে বিল ২১ অনুযায়ী, অধিকাংশ সরকারি কর্মকর্তা, নার্স, শিক্ষক, পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালনের সময় কোনো ধরনের ধর্মীয় প্রতীক সম্বলিত পোশাক পরতে পারবেন না। এসবের মধ্যে রয়েছে- পাগড়ি, হিজাব, ক্রস ও টুপি। এ আইন মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করে বলে অভিযোগ এনসিসিএম ও কানাডিয়ান সিভিল লিবার্টিস অ্যাসোসিয়েশনের। সংস্থা দুটি এ আইন বাতিলের জন্য লড়ছে। এনসিসিএম বলছে, এ আইনের কারণে অন্যায়ভাবে ভোগান্তিতে পড়েন মুসলিম নারীরা।

এনসিসিএম-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তফা ফারুক বলেন, ফাতেমা আনোয়ারী একজন সাহসি মুসলিম নারী। যিনি বিদ্যালয়ে হিজাব পরেছেন বলে তাকে শিক্ষকের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। দুঃখের বিষয় হলো- এমন ভোগান্তিতে পড়া তিনি প্রথম বা শেষ নারী নন। বিল ২১ যতদিন আছে ততদিন এমন ঘটনা ঘটতে থাকবে। ফারুক বলেন, এ ঘটনায় হস্তক্ষেপের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আবেদনে আপনারা সই করুন। আদালতে, সংবাদমাধ্যমে, রাস্তায়— এ আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না।

ফাতেমা আনোয়ারী ছিলেন কুইবেকের চেলসি এলেমেন্টারি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষক। হিজাব পরার অপরাধে নারী এ শিক্ষককে বিতর্কিত প্রাদেশিক আইনের ওপর ভিত্তি করে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। আনোয়ারী একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সত্যি কথা বলতে, ওই মুহ‚র্তে আমি হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম। এটি মেনে নেয়া খুবই কষ্টকর ছিল। সূত্র : ডেইলি সাবাহ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ