পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিদেশগামী কর্মীদের বিএমইটি থেকে বর্হিগমন ছাড়পত্র হাতে পেতে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে। ভিসার ফাইল জমা দেয়ার এক সপ্তাহ পরেও অনেক এজেন্সি বর্হিগমন ছাড়পত্র পাচ্ছে না। স্মার্টকার্ড বিভাগের অসাধু কর্মচারীদের সাথে যারা সখ্যতা গড়ে তুলছে তাদের বর্হিগমন ছাড়পত্র দ্রুত ইস্যু হচ্ছে। যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে তাদের বর্হিগমন ছাড়পত্র দ্রুত ইস্যু এবং হয়রানি বন্ধের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার কাকরাইলস্থ বিএমইটি কার্যালয়ের স্মার্টকার্ড শাখার গেইটের সামনে বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতিনিধিরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে ইমিগ্রেশন বিভাগের উপ পরিচালক আবুল কালাম আজাদ (বুলবুল) দ্রুত ঘটনা স্থলে ছুঁটে যান। তিনি বিক্ষুদ্ধ প্রতিনিধিদের শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং জমাকৃত ফাইলের দ্রুত স্মার্টকার্ড ইস্যুর আশ্বাস দেন।
বিএমটির সূত্র মতে, করোনা পরবর্তী মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রফতানির চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্হিগমন ছাড়পত্র পাওয়ার আবেদন প্রতিদিনই সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা হচ্ছে। ফ্লাইটের টিকিট সঙ্কট এবং ভিসার মেয়াদ শেষ হবার কারণে বর্হিগমন ছাড়পত্র দ্রুত ইস্যু করা জরুি হয়ে পড়েছে। রাতে বিএমইটির ইমিগ্রেশন শাখার উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বুলবুল ইনকিলাবকে বলেন, বিএমইটির স্মার্টকার্ড ইস্যুর ক্যাপাসিটি তিন হাজার। বর্হিগমন ছাড়পত্র পাওয়ার অনেক আবেদন জমা হচ্ছে। গত চার সপ্তাহ যাবত দ্রুত স্মার্টকার্ড ইস্যুর জন্য শনিবার বন্ধের দিনেও বর্হিগমন ছাড়পত্র ইস্যু করা হচ্ছে। স্মার্টকার্ড শাখায় তিন চার জন জনবল বাড়ানো হয়েছে। ফলে বর্তমানে দৈনিক ৬ হাজার ৩ শ’ স্মার্টকার্ড ইস্যু করা সম্ভব হচ্ছে। স্মার্টকার্ড শাখায় যারাই ঘুষ দিচ্ছে তারাই দ্রুত বর্হিগমন ছাড়পত্র পাচ্ছে এমন অভিযোগ সর্ম্পকে বুলবুল বলেন, এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। বর্হিগমনের অতিরিক্ত চাপে যারাই স্মার্টকার্ড পাচ্ছে না তারাই এসব অভিযোগ তুলছে। বিদেশগামী কর্মীদের স্মার্টকার্ড ইস্যুতে বিলম্ব এবং বিড়ম্বনা শিগগিরই নিরসন হবে বলে উপ পরিচালক আবুল কালাম আজাদ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এদিকে বিএমইটির পরিচালক (ইমিগ্রেশন) হাসান মাহমুদকে গত দু’সপ্তাহ আগে বিআরডিবিতে বদলি করা হয়েছে। এ সুবাদে দুবাইস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের অসত্যায়িত ভিজিট ভিসা যাচাই বাছাই ছাড়াই দেদারসে বর্হিগমন ছাড়পত্র ইস্যু করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠছে। এ নিয়ে নানা কানাঘুষা শোনা যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।