Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কলকাতায় চালু হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম অফিসিয়াল ভিসা আবেদন কেন্দ্র

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:১০ পিএম

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকি উদযাপন এবং বাংলাদশেরে ডিজিটালাইজেশনের গৌরবময় বছরের সমাপ্তি উপলক্ষে শীঘ্রই কলকাতায় প্রথম অফিসিয়াল ভিসা আবেদন কেন্দ্র চালুর ঘোষণা দিয়েছে কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ ডিপুটি হাইকমিশন।

এর ফলে বাংলাদেশে ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক ভারতের জনগণ, বিশেষ করে ভারতের র্পূবাঞ্চলের মানুষেরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। একইসাথে বহুল প্রতীক্ষিত এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের র্পযটন এবং শিল্প উভয় খাতে ইতিবাচক অবদান রাখবে। ২০০৫ সালে ভারত বাংলাদেশে ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রম ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশেন সেন্টারে আউটর্সোস করে। এই সফল মডেলটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দূতাবাস অনুসরণ করছে।

বর্তমান পদ্ধতিতে আবদেনকারীদের আবদেনপত্র এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরাসরি বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে জমা দিতে হয়। এটি সকাল ৯.৩০ থেকে দুপুর ১২.৩০ পর্যন্ত খোলা থাকে এবং এর কেবল তিনটি কাউন্টার রয়েঢছে। ডেপুটি হাইকমিশন প্রাঙ্গনের বাইরের রাস্তায় প্রায়শই আবদেনকারীদের র্দীঘ লাইন দেখা যায়, আবার কখনও কখনও মানুষ লাইনে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করতে রাতভর অপেক্ষাও করেন। এটি কূটনৈতিক কাজের জন্য গুরুতর নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করে। বেশিরভাগ দূতাবাসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আশেপাশে ভিড় করার অনুমতি দেয় না। এছাড়া, এখানে রোদ ও বৃষ্টির সময় আবদেনকারীদের আশ্রয় দেওয়ার মতো কোন জায়গা নেই, সামাজিক দূরত্ব মানার কোন উপায় নেই, নারী ও শিশুদের টয়লেটের অভাব রয়েছে এবং ফর্ম পূরণে সহায়তা করার মতো কেউ নেই। আবদেনকারীরা প্রতিদিনই এসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

১৩,০০০ বর্গফুটের সর্ম্পূণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নতুন ও অত্যাধুনিক বাংলাদেশ ভিএসি কলকাতার সল্টলেকে সেক্টর ভিএ অবস্থিত। এটি এই শহরে অবস্থিত কোন দেশের সর্ববৃহৎ ভিসা আবেদন কেন্দ্র।

বর্তমান প্রক্রিয়ার অধীনে কোন নির্দিষ্ট ফি ও চার্জ নেই বলে দালাল এবং এজেন্টরা ভিসা ফি হিসেবে ১২,৫০০ রুপি পর্যন্ত নিয়ে থাকে। বাংলাদেশের ভিসা পেতে আবদেনকারীদের জন্য ঝামেলাহীন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে ভিএসিতে সকল ক্যাটাগরির ভিসা প্রক্রিয়াকরণ ফি কমিয়ে আনা হবে এবং প্রতি আবেদনের বিপরীতে ফি জিএসিট সহ ৮২৬ রুপি নির্ধারণ করা হবে, যা র্বতমানে ভারতে যেতে বাংলাদেশের ভিসা আবেদন বেন্দ্রে যে ফি প্রদান করা লাগে তার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। বাংলাদেশের ভিসার জন্য ভারতীয় আবদেনকারীদের আর কোনো অতিরিক্ত ভিসা ফি প্রদান করতে হবে না।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, কূটনৈতিক ও ব্যবসা কেন্দ্রিক কাজই মিশনের প্রধান লক্ষ্য। বিশ্বের ৭৫টি দেশে বাংলাদেশের মিশন রয়েছে। বিশেষ করে যেসব দূতাবাসে সেবা গ্রহীতাদের চাপ রয়েছে, যেসব সেসব স্থানে আমরা ভিসা সেন্টারটিকে পৃথক করার পরিকল্পনা করছি। এই পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে মূল দূতাবাস বা হাই কমিশন থেকে আমরা এটি আলাদা করছি। এজন্যই কলকাতায় বাংলাদেশ সরকার পৃথক ভিসা সেন্টার পৃথক করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ