Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

আমেরিকায় প্রতিবছর হাজারখানেক লোককে পুলিশ মেরে ফেলে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১, ৩:৪৭ পিএম

মার্কিন প্রশাসনের সব সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। যুক্তরাষ্ট্রেও প্রতি বছর লাখ লাখ লোক নিখোঁজ হয়, পুলিশের গুলিতে হাজারও মানুষ মারা যায়। কিন্তু তার জন্য বাহিনীর সদস্যদের কোনো শাস্তি দেওয়া হয় না। আজ মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ভারতীয় রাষ্ট্রপতির আসন্ন সফর উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল।

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এবং বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এরপর ২৪ ঘণ্টার বেশি পার হয়েছে। এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারও সঙ্গে কথা বলেছেন কিনা তা জানতে চেয়েছিলেন এক সাংবাদিক।

জবাবে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের একটি দায়িত্ব দিয়েছেন। আমরা এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করে উত্তর দেবো। এমনি একা হুট করে উত্তর দেওয়া ঠিক হবে না। তবে একটি বিষয় জানাতে চাই, আমাদের সহকর্মীরা জানিয়েছেন, আমেরিকায় প্রতি বছর প্রায় ছয় লাখ লোক ‘মিসিং’ (নিখোঁজ) হয়। আর এরা বলছে, গত ১০ বছরে আমাদের দেশে নাকি ৬০০ লোক মিসিং হয়েছে। ছয় লাখ আর ছয়শ’!

ড. মোমেন বলেন, আমেরিকার তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর সেখানে হাজারখানেক লোককে পুলিশ মেরে ফেলে। গুলি করে মেরে ফেলে। আর আমাদের এখানে কালেভদ্রে একজন-দুজন মারা যায়। কিন্তু আমেরিকায় যে এত লোক মারা যায়, এ নিয়ে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম-টাধ্যম খুব কারণ তারা মনে করে, লাইন অব ডিউটিতে এই কাজটা করেছে।

‘আর আমাদের দেশে যে সংস্থার ওপর এই স্যাংশনটা এসেছে, এই সংস্থাটি আমেরিকার যে গ্লোবাল পলিসি –সন্ত্রাস দমন– আমাদের দেশে র‌্যাব এই সন্ত্রাস দমনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। শুধু সন্ত্রাস না, ড্রাগ ট্রাফিকিং (মাদকপাচার) বলেন, যেটা আমেরিকার একটা বড় ইস্যু, সেটাতেও তারা সাহায্য করছে। তারপরে ক্রাইমও কিন্তু কমে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, র‌্যাব ‘বাই এনলার্জ’ (সামগ্রিকভাবে), ওরা কিন্তু দুর্নীতিপরায়ণ না যে টাকা-পয়সা দিয়ে অবস্থা পরিবর্তন করাবে। এর ফলে তারা বাংলাদেশের জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। এবং আমেরিকায় তো এই যে বললাম, ছয় লাখ লোক নিখোঁজ হয়, হাজার হাজার লোক পাওয়া যায় মৃত অবস্থায়, সেই জন্য সেসব প্রতিষ্ঠানে যারা চাকরি করেন, তাদের ওপর কোনো পানিশমেন্ট আমি শুনিনি কোনোদিন।

তিনি বলেন, আমরা এত শক্তিশালী দেশ নই, তার ফলে হঠাৎ করে কোনো লোকের প্ররোচণায় বা কোনো সংস্থার, বিভিন্ন হিউম্যান রাইটস এনজিওর, এর ফলে এরকম একটা বড় ডিসিশন নিলো আমাদের সঙ্গে কথাবার্তা না বলে; যেখানে আমাদের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের সঙ্গে আলাপ করছি। এসব কিছুই না জানিয়ে হঠাৎ করে এরকম সিদ্ধান্ত, আমরা এটা আলোচনা করবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ