বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রংপুরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৭০ লাখ টাকা মূল্যের একটি জিপ গাড়ি প্রয়োজনীয় বরাদ্দের অভাবে মেরামত না করে নিলামে বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আর এতে করে সরকারের একটি মূল্যবান সম্পদ বেহাত হতে চলেছে। শুধু বিলাসবহুল এই জিপ গাড়িটিই নয়, অব্যবহৃত আরো ৩৩টি মোটরসাইকেল এবং ১টি জরাজীর্ণ জিপ গাড়িও নিলামে বিক্রির প্রস্তুতি নিয়েছে রংপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এজন্য ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিআরটিএকে লিখিতভাবে চিঠি দিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি কুড়িগ্রামের কাঁঠালবাড়ি এলাকায় মিটসুবিশি জিপ গাড়িটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। এ সময় গাড়িতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের তৎকালীন পরিচালক (অর্থ) ও বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের এক কর্মকর্তা ছিলেন। দুর্ঘটনায় পরিচালকসহ গাড়িতে থাকা অন্যরাও কিছুটা আহত হয়েছিলেন। দুর্ঘটনার পর থেকেই গাড়িটি অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে। সূত্র জানিয়েছে, গাড়িটি মেরামতের লক্ষ্যে একাধিকবার প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চেয়েও পায়নি সংশ্লিষ্ট দফতর। তাই গাড়িটি নিলামে বিক্রির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
দুর্ঘটনাকবলিত জিপ গাড়ির চালক আলী হোসেন সরকার জানিয়েছেন, গাড়িটি ২০১৬ সালে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালকের নির্দেশে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য যাত্রাপথে আমরা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলাম। ওই ঘটনার পর থেকে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না পাওয়ায় গাড়িটি আর মেরামত করা হয়নি। বর্তমানে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ অন্য কর্মকর্তাগণ পুরাতন একটি গাড়ি ব্যবহার করে আসছেন।
নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে। একাধিকবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে লিখিতভাবে অবগত করেও কোনো লাভ হয়নি। অথচ সাড়ে ৪ লাখ টাকা খরচ করলে জিপ গাড়িটি সচল এবং ব্যবহারের উপযোগী করা সম্ভব।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ.এম শাহজাহান সিদ্দিক জানিয়েছেন, এটি সাড়ে তিন বছর আগের ঘটনা। ওই সময়ে আমি অন্যত্র কর্মরত ছিলাম। শুনেছি আগের কর্মকর্তা বিআরটিএ কর্তৃপক্ষকে দিয়ে গাড়িটির কী কী ক্ষতি হয়েছে এর একটি তালিকা করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে পাঠিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী গাড়ি মেরামতের জন্য এই অফিস ৫০ হাজার টাকা খরচ করতে পারেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর পারে ৭৫ হাজার টাকা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পারে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত। ক্ষতিগ্রস্ত জিপ গাড়িটি নতুন হওয়া সত্ত্বেও মেরামতের প্রয়োজনীয় টাকা বরাদ্দ না পাওয়ায় অন্য জরাজীর্ণ ৩৩টি মোটরসাইকেল ও ১টি গাড়ির সঙ্গে ওই জিপটিও নিলাম করার জন্য বিআরটিএকে চিঠি দিয়েছি। বর্তমানে বিভিন্ন উপজেলা পরিদর্শনসহ দ্রুত যাতায়াতে একটি পুরাতন প্রাডো জিপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমান ব্যবহারকৃত এ জিপ গাড়িতে এক লিটার জ্বালানি দিয়ে মাত্র ৪ কিলোমিটার যাওয়া যায়। এতে আর্থিক অপচয় অনেকটা বেড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।