Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বরগুনায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী

বরগুনা জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

বরগুনার আমতলীতে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠার দুই মাস পরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৭ বছর বয়সের এক কিশোরী। ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার গভীর রাতে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের কুলাইরচর গ্রামে প্রেমিকের বাড়ির পাশের একটি ধান ক্ষেতের মধ্যে। গতকাল সোমবার দুপুরে পুলিশ প্রেমিকসহ অপর সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে।

ভুক্তভোগী ভিকটিম ও স্থাণীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামের ওই ভিকটিম কিশোরীর সাথে গত ২ মাস পূর্বে হলদিয়া ইউনিয়নের কুলাইরচর গ্রামের ইউসুফ মৃধার পুত্র ১ সন্তানের জনক জুয়েল মৃধার মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর গত ১ মাস পূর্বে উপজেলার গাজীপুর বন্দরে বসে দু’জনের মধ্যে সরাসরি দেখাও হয়। গত রোববার সকালে ভিকটিম তার খালা বাড়ি গাজীপুরে বেড়াতে আসে। যা ভিকটিম তার ব্যবহৃত মোবাইলে তার প্রেমিক জুয়েল মৃধাকে জানায়। এরপর ওই দিন রাত ৮টার দিকে কেনাকাটার নাম করে খালার বাসা থেকে বের হয়ে গাজীপুর বন্দরে গিয়ে ভিকটিম তার প্রেমিক জুয়েল মৃধার সাথে দেখা করেন।

এসময় কৌশলে প্রেমিক জুয়েল প্রেমিকা ভিকটিমকে জুয়েলের বাড়িতে নেওয়ার জন্য ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ভিকটিম তার প্রেমিকের বাড়িতে যেতে রাজি হয়। তখন প্রেমিক জুয়েল মৃধার সহযোগী একই গ্রামের বশির মোল্লার পুত্র কাওসার মোল্লাকে সাথে নিয়ে ভিকটিমকে জুয়েল মৃধার বাড়ি কুলাইচর গ্রামে নিয়ে যায়। ওই দিন রাত অনুমান ১০টার দিকে ভিকটিমকে বাড়ির পরিবর্তে পার্শ্ববর্তী ধান ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে প্রেমিক জুয়েল ও সহযোগী কাওসার একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে ভিকটিম জানায়। পরে সহযোগী ধর্ষক কাওসার ভিকটিমকে গোপনে তাদের বাড়িতে তার রুমে নিয়ে রাখে।

গতকাল সোমবার খুব ভোরে ভিকটিমকে সহযোগী ধর্ষক কাওসারের রুম থেকে বের করে এনে রাস্তায় ছেড়ে দেয়া হয়। এসময় ভিকটিম কান্না করতে করতে রাস্তা দিয়ে টেপুরা বাজারের দিকে হেটে যাওয়ার সময় পথচারী বাবুল শিকদার নামে এক ব্যক্তি ভিকটিমকে কান্না করতে দেখে কৌতুহল বসত কারণ জিজ্ঞেস করে। এসময় ভিকটিম তার সাথে যা যা ঘটেছে তার সবকিছুই খুলে বলেন। সবকিছু শুনে পথচারী বাবুল শিকদার ভিকটিমকে স্থানীয় ইউপি সদস্য জোসেফ তালুকদারের বাড়িতে পৌছে দেয়। পরে স্থানীয় চৌকিদার পাঠিয়ে প্রেমিক জুয়েল ও সহযোগী কাওসারকে তাদের বাড়ি থেকে ধরে ইউপি সদস্য জোসেফ তালুকদারের বাড়িতে নিয়ে আসে। পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত প্রেমিক জুয়েল মৃধা ও সহযোগী কাওসারকে আটক করে এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রনজিৎ কুমার সরকার বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় আছে। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় প্রেমিকসহ অপর সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষার জন্য কোর্টে আবেদন করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ