বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী জোসনা আক্তারকে হত্যার দায়ে স্বামী ইসমাইল হোসেন সুজনের যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। এসময় ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদ-ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সুজনের যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়া হয়। রায়ের সময় সুজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের পেয়ারাপুর গ্রামের মমিন উল্যা পাটোয়ারীর ছেলে সুজনের সঙ্গে জোসনার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে সৌরভ ও সুরভী নামে দুটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে সুজনসহ তার পরিবারের লোকজন জোসনার ওপর মানসিক অত্যাচার চালায়। শিশুদের কথা চিন্তা করে একাধিকবার সালিসের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা হয়। এরমধ্যে সুজন একটি মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ২০১৮ সালের ১৮ এপ্রিল পরকীয়ার ঘটনা নিয়ে সুজনের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০ এপ্রিল স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন জোসনাকে বেদম মারধর করে। খবর পেয়ে তার বাবা বাহার ওই বাড়িতে গিয়ে মেয়ের শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমের চিহ্ন দেখে। ওই দিন ঘটনার মীমাংসা করে চলে এলেও পরদিন সকালে বাহারের কাছে খবর যায় তার মেয়েকে অচেতন অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাহারসহ পরিবারের লোকজন হাসপাতালের বারান্দায় মেয়ের লাশ দেখতে পায়।
এ সময় সুজন ও তার পরিবারের কেউই ছিল না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় মৃত অবস্থায় জোসনাকে নিয়ে আসা হয়েছে। তার গলাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমের চিহ্ন রয়েছে। স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। ঘটনাটি ভিন্নদিকে প্রভাবিত করতে স্থানীয়ভাবে জোসনা গলায় ফাঁস দিয়েছে বলে রটানো হয়।
মেয়েকে হত্যার ঘটনায় বাবা বাহার উদ্দিন বাদী হয়ে ২২ এপ্রিল সুজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২২ এপ্রিল সুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে হত্যার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ১৬৪ ধারায় আদালতে সুজন জবানবন্দি দেয়। তদন্ত শেষে একই বছর ২৬ সেপ্টেম্বর সুজনের বিরুদ্ধে সদর থানা পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। গ্রেফতারের পর থেকে সুজন কারাগারেই ছিলেন। ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত সুজনকে যাবজ্জীবন কারাদ-ে দ-িত করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।