বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুজ জাহেরের নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার ভোরে চরশুল্লকিয়া খাসেরহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে আ.লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুজ জাহের, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক বাচ্চু মিয়া খোকন, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক এ কে এম জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. মাহমুদুল হাসান রুবেল, ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজ মিশু প্রমুখ নেতারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোরে স্থানীয় লোকজন ফজরের নামাজ পড়তে বের হলে খাসেরহাট বাজারে থাকা নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন জ্বলতে দেখে। পরে উপস্থিত লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। আগুনে কার্যালয়ে থাকা ব্যানার, পেস্টুন ও নৌকার তৌরণ পুড়ে গেছে। আবদুজ জাহের অভিযোগ করে বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. বেলাল হোসেন প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে আমার লোকজনকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। বিভিন্ন স্থানে আমার লোকজনকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে। খাসেরহাট বাজারের দু’টি স্থানে নির্বাচনী অফিস নেওয়ার চেষ্টা করলে বেলালের লোকজনের হুমকিতে তা নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে বাজারের পাশে একটিস্থানে অস্থায়ী কার্যালয় তৈরি করে নৌকার প্রচারণা করছিল আমার লোকজন। কিন্তু গতকাল রোববার ভোরে বাজারে কেউ না থাকার সুযোগে বেলালের লোকজন তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে সদর থানা পুলিশকে অবগত করা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. বেলাল হোসেন জানান, ভোটের মাঠে আমার জনপ্রিয়তা দেখে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুজ জাহেরের লোকজন নিজেদের অফিসে নিজেরা আগুন দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। চরশুল্লকিয়া ওই কেন্দ্রে প্রায় ৭ হাজার ভোটার রয়েছে, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে তারা সেখানে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি আরো বলেন, নৌকার প্রার্থী হওয়ায় সে আমার লোকজনকে হুমকি দেওয়াসহ এলাকায় বিভিন্নভাবে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে। ২৬ তারিখ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন তিনি।
সুধারাম মডেল থানার ওসি সাহেদ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার জানান, এ বিষয়ে আমার কাছে কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। তবে বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।