Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বিএনপির তিন নেতা

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ২:১৪ পিএম

আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচন ঘিরে বিএনপির নেতাকর্মীরা দো-টানায় রয়েছেন। দল কি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে যাবে কি না। আর গেলেও কে হবেন দলীয় প্রার্থী, তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। কিন্তু আওয়ামীলীগ তাদের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করলেও বিএনপি তাদের প্রার্থী ঘোষণা তো দুরের কথা নির্বাচনে যাবে কি যাবে না তারও নিশ্চিত করেনি এখনো। তারপরও নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির তিন নেতার নাম আলোচিত হচ্ছে। তারা মেয়র পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী, যদি দল সম্মতি দেয়।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শনিবার (১১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ৮জন মেয়র পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এদের মধ্যে নারায়ণগহ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল রয়েছেন।
এদিকে সাখাওয়াত হোসেন খান ও এটিএম কামাল মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর নির্বাচনী মাঠেও নেমেছেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও রাখছেন।
ওদিকে শনিবার দিনভর আলোচনায় উঠে আসে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের নাম। তিনিও নির্বাচনের ইচ্ছা পোষণ করছেন। এবং শনিবার নির্বাচন অফিসেও গিয়েছেন নির্বাচনী বিধিমালা জানতে।
অন্যদিকে গত ১ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার এক কুলখানি অনুষ্ঠানে এসে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত বা আলোচনা হয়নি। তবে বিএনপি বর্তমান সরকারের অধীনে দলীয়ভাবে কোনো নির্বাচনেই অংশ নেবে না। এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। বর্তমান সরকার সব নির্বাচন তাদের মতো করে পরিচালনা করছে।
কিন্তু নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতারা মির্জা ফখরুলের সেই বক্তব্যের প্রাধান্য দেননি। ৫ ডিসেম্বর মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিসাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল ও সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে এটিএম কামাল বলেন, আমার দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনে না গেলে আমি স্বতন্ত্র নির্বাচন করবো। দেশে নির্বাচন ব্যবস্থা শেষ করে দিয়েছে এ আওয়ামী লীগ। তবুও আমি নির্বাচনে অ্যাসিড টেস্ট হিসেবে অংশ নিচ্ছি।
অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, দল নির্বাচনে যাবে কি না আমার জানা নেই। তবে দল যদি নির্বাচনে যায় এবং আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে নির্বাচন করার ইচ্ছা আছে। এজন্য আমি মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছি। তবে নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারবে কি না তা নিয়ে ভোটারদের শঙ্কা আছে। সুষ্ঠু ভোট হলে আমি জয়ী হবো
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, দল যদি সিদ্ধান্ত দেয় তাহলে নির্বাচন করার ইচ্ছা আছে। দলের নির্দেশনা তো মানতেই হবে। সাধারণ মানুষজনও আমাকে চাচ্ছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই দিনভর আমার বাড়ি লোকে লোকারণ্য হয়ে যাচ্ছে। সবার দাবি, আমাকে নির্বাচনে দাঁড়াতেই হবে। ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহল থেকে অনেকেই আমাকে প্রার্থী হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ২০১১ সালে আমাকে নির্বাচনের আগ মুহূর্তে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যে কারণে ২০১৬ সালে আমি প্রার্থী হতে চাইনি। কিন্তু এবার আর না করতে পারবো না। দল যদি বলে স্বতন্ত্র প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য তাহলেও নির্বাচনে অংশ নেবো।
তবে ঃএসব বিষয় নিয়ে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীরা ধোঁয়াশায় রয়েছেন। অন্যদিকে নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার সময়ও ঘনিয়ে আসছে। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে হবে। যদি নির্বাচনে অংশ নিতেই হয় তাহলে আগে থেকেই মাঠে নামার কথা বলছেন বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপির পরোক্ষ সমর্থনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উল্লেখিত তিন প্রার্থীর কেউ মেয়র পদে নির্বাচিন করলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নাসিক

২০ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ