Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফুল আর রঙিন নেই!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

দুরন্ত ঘূর্ণির পাকে নাকি রঙ বদলায় দুনিয়া জুড়ে। কবির মত এমনটাই। কিন্তু বাস্তবেও কি এই দুনিয়ার কোনও জিনিসের রঙ বদলাতে পারে? গবেষকরা জানাচ্ছেন, প্রকৃতিতে বিভিন্ন পরিবর্তনের ফলে নাকি তেমনই ঘটছে ফুলের দুনিয়ায়।
পৃথিবী বিশ্ব উষ্ণায়নের বিপজ্জনক ধাপে দাঁড়িয়ে আছে। মেরুপ্রদেশের বরফও ইতোমধ্যেই গলতে শুরু করেছে। হিমবাহগুলো গলতে থাকায় বাড়তে শুরু করেছে সমুদ্রের পানির উচ্চতা। পরিবেশ দূষণ ও উষ্ণায়নের ফলে ক্রমশ ফুটো হচ্ছে ওজোন স্তর।

এর ফলে পৃথিবীতে সরাসরি এসে পড়ছে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি। এমন চলতে থাকলে অচিরেই ফুরোবে পৃথিবীর আয়ু। এ নিয়ে বহুদিন ধরেই সতর্ক করে এসেছেন পরিবেশবিদেরা। ইতোমধ্যেই বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে বহু প্রাণী। শুধু প্রাণীজগতের উপরেই নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়ছে উদ্ভিদজগতেও।
সম্প্রতি একটি বায়োলজিকাল জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র জানিয়েছে, বিশ্ব উষ্ণায়ন ও ওজোন স্তর ফুটো হয়ে যাওয়ার ফলে ক্রমশ ফ্যাকাশে হচ্ছে ফুলের রঙ। আর বিজ্ঞানীদের দাবি, তার জন্য দায়ী সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি।

উদ্ভিদের মধ্যে থাকে এক ধরনের রঞ্জক, যা সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শুষে নেওয়ার কাজ করে। দূষণের ফলে ওজোন স্তর ফুটো হওয়ার কারনে পৃথিবীতে সরাসরি এসে পড়ছে ওই অতিবেগুনি রশ্মি। আর তা প্রতিহত করতে গাছেরা নিজেদের শরীরের ওই রঞ্জকের পরিমাণ বাড়িয়েই চলেছে। যার ফলে রঙ পরিবর্তন হচ্ছে ফুলেরও।
এই গবেষণার উদ্দেশ্যে ১৯৪১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত অন্তত এক হাজার ২৩৮ রকম হার্বেরিয়াম নমুনা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আলট্রাভায়োলেট পিগমেন্টের পরিবর্তন বোঝার জন্য তারা ব্যবহার করেন বিশেষ ধরনের ক্যামেরা। আর তাতেই ধরা পড়ে বিভিন্ন জায়গা ও সময়ভেদে কীভাবে বদলে গেছে ফুলের রঙ।
গবেষকরা দেখেছেন প্রতি বছর গাছের শরীরে অন্তত ২ শতাংশ করে বেড়েছে এই বিশেষ অতিবেগুনি রঞ্জক। চেমসন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক উদ্ভিদবিদ জানিয়েছেন, এই ধরনের রঞ্জক আদতে খালি চোখে দেখা যায় না। তবে গাছের জন্য এটি সানস্ক্রিনের মতোই কাজ করে বলা যায়। সূত্র : ক্লাইমেট চেঞ্জ পোস্ট ডটকম, দ্য গার্ডিয়ান।



 

Show all comments
  • Mostafa kamal ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১০:৪৬ এএম says : 0
    It is true that one day the world will be destroyed by its creator Allah Subhanahutala. So every human being should come back to his creator.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ