নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আগের দিন জো রুট-ডেভিড মালান মিলে আশা বাড়িয়েছিলেন ইংল্যান্ডের। তবে তাদেরকে ছেঁটে দ্রæতই ইংল্যান্ডের ইনিংস গুড়িয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। সহজ লক্ষ্য পেরিয়ে যায় অনায়াসে। গতকাল ব্রিসবেনে প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস ২৯৭ রানে আটকে দেওয়ায় তাদের লক্ষ্য ছিল কেবল ২০ রানের। সেটা ১ উইকেট হারিয়েই পৌঁছে যায় তারা। পাঁচ টেস্টের ঐতিহ্যের সিরিজে শুরুতেই দাপট দেখিয়ে তাই ১-০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
বড় জয়ের পরিস্থিতি অবশ্য তৈরি হয় প্রথম দিনেই। সফরকারীদের কেবল ১৪৭ রানে আটকে রাখে প্যাট কামিন্সের দল।পরে ট্রেভিস হেড, ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটে ৪২৫ রান করে পায় ২৭৮ রানের বড় লিড। দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়িয়ে সেই লিড পেরিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে একটা জুতসই লক্ষ্য দেওয়ার আভাস দিয়েছিলেন রুট-মালান। এই দুজন বাদ দিলে পরে আর কেউই দাঁড়াতে পারেননি। ২ উইকেটে ২২০ থেকে ইংল্যান্ড অলআউট হয়ে যায় ২৯৭ রানে। টেস্টে ৪০০ উইকেট নেওয়ার দিনে নাথান লায়নই হয়েছেন মূল হন্তারক। ৯১ রানে ৪ উইকেট তুলেছেন তিনি। ২ উইকেট নিয়েছেন কামিন্স। অধিনায়কত্বের অভিষেকে ম্যাচে ৭ উইকেট নিলেন তিনি। ক্যামেরন গ্রিনের পকেটে গেছে ২ উইকেট। মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজেলউড পেয়েছেন একটি করে উইকেট।
চতুর্থ দিন শুরুতেই ধাক্কায় খায় ইংল্যান্ড। দিনের তৃতীয় ওভারে মালানকে ফিরিয়ে ৪০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন লায়ন। আগের দিনের সঙ্গে আর কেবল ২ রান যোগ করে ৮২ রান করে বিদায় নেন বাঁহাতি মালান। খানিক পর অধিনায়ক রুটকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে উল্লাসে মাতেন গ্রিন। ইংল্যান্ড অধিনায়ক ফেরেন ৮৯ রানে। এরপর টপাটপ উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা। মাত্র ৪ রান করে লায়নের শিকার হন ওলি পোপ। বেন স্টোকস থিতু হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ৪৯ বলে ১৪ রান করে তিনি ফেরেন কামিন্সের বলে। জশ বাটলার প্রথম ইনিংসের মতো প্রতিরোধের আভাস দিতেই নিভেছেন। হ্যাজেলউডের বলে ৪ বাউন্ডারিতে শেষ হয়েছে তার ৩৯ বলে ২৩ রানের ইনিংস। ক্রিস ওকসকে ছাঁটেন গ্রিন। শেষ দুই উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের ইনিংস মুড়ে দেন লায়ন।
ইংল্যান্ড : ১৪৭ ও দ্বিতীয় ইনিংস : ১০৩ ওভারে ২৯৭ (আগের দিন ৭০ ওভারে ২২০/২) (হামিদ ২৭, বার্নস ১৩, মালান ৮২, রুট ৮৯, স্টোকস ১৪, বাটলার ২৩, ওকস ১৬; স্টার্ক ১/৭৭, হেইজেলউড ১/৩২, কামিন্স ২/৫১, লায়ন ৪/৯১, গ্রিন ২/২৩, লাবুশেন)। অস্ট্রেলিয়া : ৪২৫ ও দ্বিতীয় ইনিংস : ৫.১ ওভারে ২০/১ (ক্যারি ৯, হ্যারিস ৯*, লাবুশান ০*; রবিনসন ১/১৩, ওকস ০/৩, উড ০/৪)। ফল : অস্ট্রেলিয়া ৯ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : ট্রেভিস হেড।
সিরিজ : ৫ ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।