Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জিম্বাবুয়েফেরত ২ নারী ক্রিকেটার ওমিক্রনে আক্রান্ত

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

সন্দেহটা দানা বেধেছিল আগেই, এবার এলো দুঃসংবাদ। দেশে করোনার ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে এবং তাতে আক্রান্ত হয়েছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের দুই খেলোয়াড়। গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সেটি নিশ্চিত করেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সেটি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘আমাদের যে দুই নারী ক্রিকেটারের শরীরে ওমিক্রন ধরন পাওয়া গেছে, তাঁদের কোয়ারেন্টিনে রেখেছি। তারা সুস্থ আছেন। তাঁদের যা যা চিকিৎসা দরকার, সেটি চলছে। মাঝেমধ্যেই পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে তাঁদের শরীরে এখন ওমিক্রনের লোডটা কেমন আছে। হয়তো পুরোপুরি সেরে উঠতে দুই সপ্তাহ লাগবে। পুরোপুরি সুস্থ হলেই আমরা তাঁদের ছাড়তে পারব।’ এ দুজনের আশপাশে যাঁরা ছিলেন, তাঁদেরও করোনা পরীক্ষার আওতায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ‘আমরা কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং করছি এবং যাঁরা তাঁদের পাশে ছিলেন বা তাঁদের সংস্পর্শে এসেছেন, সবারই পরীক্ষা করা হয়েছে।’
জিম্বাবুয়েতে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ নারী দল। কিন্তু করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের কারণে সেটি মাঝপথেই স্থগিত হয়ে যায়। র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকায় বাংলাদেশ নারী দল প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে। সেই আনন্দের মধ্যেই দল ১ ডিসেম্বর দেশে ফেরে। কিন্তু ৬ ডিসেম্বর জানা যায়, দুই ক্রিকেটার করোনায় আক্রান্ত। গতকাল এল তাঁদের ওমিক্রন ধরনেই আক্রান্ত হওয়ার খবর। বিসিবি চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা দুজনের ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত হওয়ার কথা শুনেছি, তবে আইইডিসিআর আমাদের এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।’
জিম্বাবুয়ে থেকে ফেরার সময় বাংলাদেশ দল নামিবিয়া হয়ে ওমানের পর বাংলাদেশে পৌঁছায়। বাংলাদেশে আসার পর তাঁদের প্রথমে পাঁচ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। কিন্তু দুজনের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবরের পর তাঁদের দায়িত্ব নিয়ে নেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাঁদের অনির্দিষ্টকালের জন্য কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। এখনো রাজধানীর বিলাসবহুল একটি হোটেলেই কোয়ারেন্টিনে আছেন সব ক্রিকেটার। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, পজিটিভ হওয়ার পর থেকে ওই দুই নারী ক্রিকেটার আলাদাভাবে আইসোলেশনে আছেন।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন প্রায় ৬০টি দেশে শনাক্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে শুধু দক্ষিণ আফ্রিকাতেই আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৩০ লাখ। তবে এ পর্যন্ত এই ধরনে আক্রান্ত কারও মৃত্যু হয়নি। দেশটির বিজ্ঞানীরা এক গবেষণায় জানিয়েছেন, ডেলটা ও বেটা ধরনের তুলনায় ওমিক্রনের পুনরায় সংক্রমিত করার ক্ষমতা তিন গুণ বেশি। এ ছাড়া আগে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে গড়ে ওঠা প্রতিরোধব্যবস্থা ভেঙে দেওয়ার সক্ষমতাও ওমিক্রনের রয়েছে। স্বল্প পরিসরে চালানো এক গবেষণা শেষে ফাইজার ও বায়োএনটেক জানিয়েছে, করোনার অন্য ধরনগুলোর বিরুদ্ধে টিকার দুটি ডোজ যে পরিমাণ সুরক্ষা দিয়ে এসেছে, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে একই সুরক্ষা পেতে প্রয়োজন হবে বাড়তি একটি ডোজের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ