মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিদেশে নতুন করে অতিমাত্রায় কার্বন নির্গমন জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করার ব্যাপারে মার্কিন সরকারি সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে জো বাইডেন প্রশাসন। খবর রয়টার্সের। এর বদলে পরমাণু শক্তি প্রযুক্তি স্থাপনের জন্য বিশ্বব্যাপী সহযোগিতাকে অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলেছে মার্কিন প্রশাসন। ব্লুমবার্গ এ ব্যাপারে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পরে রয়টার্সও এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেসব প্রকল্পে গ্রীনহাউস গ্যাসের তীব্রতা প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টায় ২৫০ গ্রাম, সেগুলোকে কার্বন-নিবিড় প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এইসব বিদেশি নতুন প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করতে বলেছে মার্কিন প্রশাসন। এটি দুটি কারণে কার্বন-নিবিড় প্রকল্পগুলোকে ছাড় দেওয়া হয়। এগুলো হলো- জাতীয় নিরাপত্তা বা ভূ-কৌশলগত কারণে প্রয়োজন বলে মনে করার জন্য এবং দুর্বল এলাকায় শক্তির যোগান দেওয়ার জন্য সেগুলৈা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলে। যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতির ব্যাপারে এর আগে নির্বাহী আদেশ রয়েছে এবং সে সংক্রান্ত নির্দেশনায় প্রশাসনের দ্বারা নির্ধারিত লক্ষ্যগুলোকে চিহ্নিত করা আছে। এ বছরের আগস্টে ফ্রান্সে জি-৭ বৈঠক এবং জাতিসংঘের জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনেও সে ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। স্কটল্যান্ডে জাতিসংঘের জলবায়ু আলোচনায় জো বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, সীমিত ক্ষেত্রে ব্যতীত ২০২২ সালের শেষ নাগাদ ৪০টি দেশ এবং পাঁচটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নতুন আন্তর্জাতিক অর্থায়ন বন্ধ করা হবে। অপর এক খবরে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সা¤প্রতিক সময়ে স্বৈরাচার বেড়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জের মুখে মানুষের অধিকার এবং স্বাধীনতা সুরক্ষিত রাখারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার ‘দ্য সামিট ফর ডেমোক্রেসি’ বা গণতন্ত্র সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে বাইডেন এই আহ্বান জানান। শতাধিক দেশের নেতাদের অংশগ্রহণে বিশ্বে এ ধরনের সম্মেলন এটিই প্রথম। বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রের পিছিয়ে পড়া ঠেকানোই ভার্চুয়াল এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য। উদ্বোধনী ভাষণে বাইডেন কর্তৃত্ববাদীদের ক্ষমতার বলয় স¤প্রসারণ, প্রভাব খাটানো এবং নিপীড়নের সাফাইয়ের মুখে বিশ্বব্যাপী মানুষের স্বাধীনতার সুরক্ষা হুমকির সম্মুখীন হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “আমার দৃষ্টিতে, আমরা আমাদের ইতিহাসের একটি বিবর্তনের বিন্দুতে দাঁড়িয়ে আছি।...আমরা কী অধিকার এবং গণতন্ত্রের পশ্চাৎমুখীতাকে অবাধে চলতে দেব, নাকি আমরা একসঙ্গে মানুষের অগ্রগতি ও স্বাধীনতার অগ্রযাত্রাকে আরও একবার সামনে এগিয়ে নেওয়ার দূরদৃষ্টিৃএবং সাহস সঞ্চয় করব?” বাইডেন আরও বলেন, “গণতন্ত্র দৈবাৎ আসে না। আমাদেরকে প্রত্যেক প্রজন্মেই এর পুনরুজ্জীবন ঘটাতে হবে। আমার দৃষ্টিতে, এটিই আমাদের সময়ের গুরুতর চ্যালেঞ্জ।” রয়টার্স, বøুমবার্গ, ইনভেস্টিং ডটকম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।