Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইউক্রেন নিয়ে রুশ-মার্কিন পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

রাশিয়াকে গুরুতর পরিণাম ভোগ করতে হবে : যুক্তরাজ্য

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

ইউক্রেন নিয়ে রুশ-মার্কিন পাল্টাপাল্টি অভিযোগ থামেনি। এক অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেই যাচ্ছে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে যে যুদ্ধ চলছে- সেখানকার পরিস্থিতিকে গণহত্যার সাথে তুলনা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে ২০১৪ সাল থেকেই রুশ-সমর্থিত বিদ্রোহীরা ইউক্রেনের সরকারি সৈন্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। পূর্ব ইউক্রেনের রুশ-ভাষী জনগোষ্ঠীর এক বড় অংশ বসবাস করেন ডনবাস এলাকায়। তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করে এ মন্তব্য করেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। তিনি বলেন, রুশোফোবিয়া হচ্ছে গণহত্যার পথে প্রথম পদক্ষেপ। ‘ডনবাসে কি ঘটছে তা আমরা দেখছি এবং জানি’, বলেন পুতিন, ‘এটা নিশ্চয়ই গণহত্যার মতোই দেখাচ্ছে।’ হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি এ মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, রাশিয়া তাদের উত্তেজনাকর কথাবার্তা এবং ভুল তথ্য প্রচারের জন্য সুপরিচিত। গত কিছুকালের মধ্যে রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ৯০,০০০ সৈন্য সমাবেশ করেছে। তাদের এই সৈন্য সমাবেশ ইতোমধ্যেই চাপে থাকা রুশ-মার্কিন সম্পর্ককে আরো উত্তেজনপূর্ণ করে তুলেছে। ডনবাস সীমান্তেও রুশ সৈন্য সমাবেশ ঘটছে। গত সাত বছর ধরে ইউক্রেনের পূবদিকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ দখল করে আছে রুশ সমর্থিত সৈন্যরাএবং এখানে সংঘাতে এ পর্যন্ত ১৪,০০০এরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। বিবিসি জানায়, ইউক্রেন সীমান্তে বিপুলসংখ্যক রুশ সৈন্য সমাবেশের ফলে আশংকা তৈরি হয়েছে যে রাশিয়া হয়তো ইউক্রেনে আক্রমণ করার পরিকল্পনা করছে। এরকম কিছু হলে রাশিয়ার ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক ভিডিও লিংকের মাধ্যমে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সাথে বৈঠক করেন এবং তার পর ওই আলোচনা সম্পর্কে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকেও অবহিত করেছেন মি. বাইডেন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে উস্কানির অভিযোগ এনে রাশিয়া বলেছে, নেটো জোটকে পূর্বদিকে স¤প্রসারণ এবং রাশিয়ার কাছাকাছি কোন অস্ত্র মোতায়েনের প্রয়াস বন্ধ করা হবে তারা এই গ্যারান্টি চায়। অপরদিকে রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ইউক্রেনে আক্রমণ করলে রাশিয়াকে ‘কঠিন অর্থনৈতিক পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ট্রাস বলেন, চলতি সপ্তাহে লিভারপুলে জি-৭ জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেনের বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য ও তার মিত্রদের রাশিয়াকে এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে। ইউক্রেনের দাবি অনুযায়ী সীমান্তের কাছে ৯৪ হাজারের মতো রুশ সেনা অবস্থান নিয়েছে। এই ধরনের সমাবেশের কারণে যেকোনও সময় সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে কিয়েভ। তবে মস্কো অস্বীকার করে আসছে ইউক্রেনে আক্রমণে তার দেশের কোনও পরিকল্পনা নেই। এমন পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আগ্রাসনের বিষয়ে ইক্রেনের প্রতি সম্মান জানিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে জি-সেভেন। তিনি আরও যুক্ত করেন, আক্রমণ করলে রাশিয়াকে কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে। যদি হামলা চালিয়ে বসে তবে এটি হবে ‘কৌশলগত ভুল’। ইউক্রেনকে সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে দেশটিকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। স¤প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও মস্কোকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়ে রেখেছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যকার উত্তেজনা নিরসনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ও বাইডেন এক ভিডিও লিংকে আলাপ করেন। সেখানেই তিনি ইউক্রেন ইস্যুতে পুতিনকে সতর্ক করেন। বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ