Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকা উত্তরে ‘ডিসিসিআই গুলশান সেন্টার’উদ্বোধন করলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০২১, ৪:২০ পিএম

বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি আজ (শনিবার) ঢাকা উত্তরে (গুলশানে) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর নিজস্ব স্থানে শাখা অফিস ‘ডিসিসিআই গুলশান সেন্টার’-এর উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে এফসিবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ডিসিসিআই-এর নিজস্ব অফিস স্পেসে স্থাপিত ‘ডিসিসিআই গুলশান সেন্টার’ চেম্বারের সদস্যবৃন্দের মেম্বারশীপ সংক্রান্ত সেবা প্রদানের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়ক তথ্য প্রাপ্তির উৎস স্থল হিসেবে কাজ করবে। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির কাঙ্খিত উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে দেশের সকল ব্যবসায়ী সম্প্রদায় একযোগে কাজ করছে এবং আশা প্রকাশ করেন, সামনের দিনগুলোতে তাদের এ বন্ধন আরো জোরালো হবে। ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, আমাদের এসএমই খাত অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি এবং এলডিসি পরর্বতী চ্যালেঞ্জ ও অর্থনীতিকে বেগবান করতে আমাদেরকে এখাতের উপর আরো জোরারোপ করা প্রয়োজন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ২০৪১ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশের সকল ব্যবসায়ী সমাজকে একযোগে দলমত নির্বিশেষে কাজ করে যেতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দীর্ঘদিন ধরেই একটি কৃষি নির্ভর অর্থনীতি এবং কৃষিখাতের আধুনিকায়নের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্যের বহুমুখীকরণ নিশ্চিত করতে পারলেই আমাদের অর্থনীতির বিকাশ আরো বেগবান হবে। দেশের অর্থনীতিকে আরো গতিশীলের পাশাপাশি উচ্চ প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতকল্পে আমাদের এসএমই খাতের উপর আরো জোরারোপের আহ্বান জানান বাণিজ্য মন্ত্রী। মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, নতুন স্থাপিত ‘ডিসিসিআই গুলশান সেন্টার’ ঢাকা চেম্বারের সদস্যবৃন্দের পাশাপাশি ব্যবসায়ী সমাজে কে সেবা প্রদান করতে সক্ষম হবে।

বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, লজিস্টিক খাতে আমরা বেশ পিছিয়ে রয়েছি, তবে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষন করতে আমাদেরকে এখাতের উপর অরো মনোনিবেশ করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট নিরসন এবং সমুদ্রবন্দর গুলোতে সেবার মান উন্নয়ন ও দ্রæততরকণ নিশ্চিত করা সম্ভব হলে, ব্যবসায় ব্যয় হ্রাস পাব, যা আমাদের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিকে গতিশীল করবে। এফবিসিসিআই সভাপতি দেশের সকল চেম্বার এবং এসোসিয়েশন গুলোর দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি আরো উল্লেখ করেন, এলডিসি হতে বাংলাদেশের উত্তোরণ পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদেরকে বেশি হারে খাত ভিত্তিক ব্যবসা-বাণিজের উপর আরো বেশি হারে জোরারোপের আহŸান জানান। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘ডিসিসিআই গুলশান সেন্টার’, ঢাকা চেম্বারের সদস্যবৃন্দের পাশাপাশি সকল ব্যবসায়ীদের বৃহত্তর স্বার্থে নিরলসভাবে কাজ করবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা চেম্বারের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, এফসিএস, এফসিএ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ডিসিসিআই সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ এবং প্রাক্তন সভাপতিবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টিপু মুনশি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ