বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মাছে উদ্বৃত্ত আর প্রাণি সম্পদে সমৃদ্ধ বরিশাল অঞ্চলে আজ পর্যন্ত এসব সম্ভবনাময় সেক্টরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। এমনকি সারা দেশে উৎপাদিত ও আহরিত ইলিশের প্রায় ৭০ ভাগের যোগানদার দক্ষিণাঞ্চলে আজ পর্যন্ত কোন ইলিশ গবেষণা কেন্দ্র বা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার পর্যন্ত উদ্যোগ নেই। তবে অতি সম্প্রতি বরিশালে সরকারী হাঁস-মুরগির খামারের অভ্যন্তরে একটি প্রাণি সম্পদ ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহন করা হলেও জমি নিয়ে জটিলতার অবশান না হওয়ায় প্রকল্পটির কাজ শুরুর বিষয়টি এখনো কিছুটা অনিশ্চয়তায়।
খাদ্য উদ্বৃত্ত বরিশাল কৃষি অঞ্চল ইতোমধ্যে মাছের উৎপাদন প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টনে উন্নীত হওয়ায় পৌনে ৩ লাখ টন উদ্বৃত্ত এলাকা। এ অঞ্চল ইতোমধ্যেই সাড়ে ৭ লাখ টন খাদ্য উদ্বৃত্বের টেকসই অবস্থান তৈরীর পাশাপাশি গত এক দশকে মাছের উৎপাদনও বেড়েছে প্রায় ৭৫%। অথচ দেশে এসময়ে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ৫৫%। বরিশাল অঞ্চলে মাাছের চাহিদার ৩.৩৮ লাখ টনের বিপরিতে উৎপাদন সাড়ে ৬ লাখ টনের কাছে। এমনকি গত এক দশকে দক্ষিণাঞ্চলে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে ১১৫%। মৎস্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে সারা দেশের ৬৬% ইলিশ আহরিত হয় দক্ষিণাঞ্চলে। কৃষি ফসলের চেয়ে মাছে মুনফা বেশী হওয়ায় গ্রামঞ্চলে এখন মৎস্য চাষে আগ্রহ আরো বাড়ছে।
প্রাণি সম্পদের ক্ষেত্রেও গত দুই দশকে বরিশাল অঞ্চল প্রবৃদ্ধি প্রায় শতভাগ। ইতোমধ্যে গোসত ও ডিম উৎপাদনে এ অঞ্চল সয়ম্ভরতা অর্জনের পাশাপাশি জাতীয় হারের চেয়ে বেশী দুধ উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু সঠিক কারিগড়ি জ্ঞানের অভাবে এ অঞ্চলের মৎস্য চাষি সহ প্রাণি সম্পদ খামারিরা যেমনি উন্নত উৎপাদন ব্যবস্থার বাইরে, তেমনি প্রাণি সম্পদের ক্ষেত্রেও উন্নতজাতের গাভী সহ গৃহপালিত প্রাণি সম্পদের অভাব রয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় সংকট মৎস্য ও প্রাণিজ সম্পদের দক্ষ জনবলের ক্ষেত্রে।
এ ধরনের জনবল তৈরীতে আজ এপর্যন্ত বরিশাল অঞ্চলে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। এমনকি বিষয়টি নিয়ে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রনালয় পর্যন্ত কোন উদ্যোগ গ্রহন করেনি ইতোপূর্বে। ওয়াকিবাহাল মহলের মতে, এসব সেক্টরে আজ পর্যন্ত যতটুকু উন্নতি হয়েছে, তার সবটুকুই মৎস্যজীবী ও প্রাণি সম্পদের খামারীদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে।
অথচ ঢাকার সাভারে মৎস্য প্রশিক্ষন একাডেমি ছাড়াও ইতোমধ্যে চাঁদপুরে মৎস্য প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউট এবং ফরিদপুর,লক্ষ্মীপুর ও রংপুরের পাবর্তিপুরে মৎস্য প্রশিক্ষন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। পাশাপাশি কিশোরগঞ্জ, চাঁদপুর, সিরাজগঞ্জ ও গোপালগঞ্জেও মৎস্য ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউট গড়েছে সরকার।
প্রাণি সম্পদের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। বরিশাল বাদে দেশের সবগুলো বিভাগের অনেক জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও গবেষনা ও প্রশিক্ষন কেন্দ্র ইতোমধ্যে ঐসব এলাকার প্রাণি সম্পদ উন্নয়নে যথেষ্ঠ ইতেবাচক ভূমিকা রাখছে বলেও জানা গেছে। কিন্তু ব্যাতিক্রম শুধু বরিশাল অঞ্চল।
মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর ছাড়াও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় এ পর্যন্ত বরিশাল অঞ্চলে এ ধরনের গবেষনা ও প্রশিক্ষন সম্প্রসারনে তেমন কোন উদ্যোগ গ্রহন করেনি। তবে বিষয়টি নিয়ে শণিবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম-এমপি’র সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, ‘দক্ষিনাঞ্চল কৃষির মত মৎস্য ও প্রাণি সম্পদেও সমৃদ্ধ। ইতোমধ্যে দক্ষিণঅঞ্চলে খাদ্যে উদ্বৃত্তের পাশাপাশি গোসত ও ডিম উৎপাদনে সয়ম্ভরতা অর্জন করেছে। দুধ উৎপাদনে সারা দেশের সাথে সমানভাবে এগিয়ে চেলেছে এ অঞ্চল। সুতরাং এদুটি সেক্টরে দক্ষ জনবল তৈরী করতে হবে। আর এলক্ষে ইতোমধ্যে বরিশালে একটি প্রাণি সম্পদ ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট নির্মান প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়ে মন্ত্রী মৎস্য সেক্টরেও এ ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ে তেলার বিষয়টি এখন প্রক্রিয়াধীন বলে জানান। তিনি বলেন, অদুর ভবিষ্যতেই আমরা দেশবাশীকে মাছের মত প্রাণি সম্পদেও সংম্ভরতা অর্জনের সু সংবাদ দেব। আর এক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলোকে চিঞ্হিত করে কাজ শুরু করার কথাও জানান মন্ত্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।