পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সড়কে শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর বিচার, ক্ষতিপূরণ ও নয় দফা দাবিতে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি নিহতদের স্বজনরাও উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিহত শিক্ষার্থীদের স্বজনদের কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তাদের দাবি ছেলে মারা গেলেও বিচার কিংবা ক্ষতিপূরণ কোনটিই তারা পাননি। গতকাল শুক্রবার ‘সড়কে স্বজন হারাদের সমাবেশ’ শীর্ষক এক সমাবেশের আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা।
সড়কে প্রাণ হারানো সাইফুল ইসলামের বাবা শাহজাহান কবির বলেন, ২ বছর আগে আমার একমাত্র ছেলেকে আমি হারিয়েছি। এখন পর্যন্ত তার বিচার পাইনি। কিন্তু সেই ড্রাইভার এখনও গাড়ি চালাচ্ছেন। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সব দফতরে গিয়েছি। কিন্তু আমি বিচার পাইনি এবং কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণও পাইনি।
এ সময় বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সাইফুল ইসলামের মা। তিনি বলেন, আমার কিছু বলার নেই। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। সাইফুল ইসলামের বোন বলেন, আমার ভাইসহ সড়কে প্রাণ হারানো সবার মৃত্যুতে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। আর কারো ভাই-ছেলে-মেয়ে যেন সড়কে প্রাণ না হারায় সে নিশ্চয়তা চাই।
আন্দোলনের সমন্বয়ক মঈদুল ইসলাম দাউদ বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরেনি। বরং মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে। আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। সমাবেশ থেকে আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে সারা দেশে সব পরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ পাস কার্যকরসহ নিরাপদ সড়কের দাবিতে নয় দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে ১৫ ডিসেম্বর ঢাকায় সচিবালয়ের সামনেসহ সারা দেশে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।