পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক শিষ্টাচারে বিশ্বাসী বলেই একজন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বহীন বক্তব্য ও অসদাচরণের জন্য তাকে শেখ হাসিনা ছাড় দেননি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। জিয়া পরিবারের সদস্যদের অনেক কীর্তি এ দেশের মানুষ জানে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গতকাল ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক শিষ্টাচারে বিশ্বাসী। দলে কিংবা সরকারে কেউ শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজ করলে তাকে ছাড় দেওয়া হয় না, এ কথা শেখ হাসিনা বার বার প্রমাণ করেছেন। যত বড় রাজনৈতিক পরিচয় হোক, অন্যায়-অনিয়ম কিংবা রাজনৈতিক শিষ্টাচার অথবা শৃঙ্খলা বহির্ভূত কাজ করলে দল কখনো তার পক্ষে দাঁড়ায় না। দেশবাসী দেখেছে একজন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বহীন বক্তব্য ও অসদ আচরণের জন্য শেখ হাসিনা ছাড় দেননি। আর তার বিপরীতে দেশবাসী দেখলো বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার দলের একজন নেতার অশালীন বক্তব্যকে নির্লজ্জভাবে কীভাবে দলীয়ভাবে সমর্থন দিয়েছে। দেশবাসী বিস্মিত, ক্ষুব্ধ ও লজ্জিত। বিএনপি নেতারা রাজনৈতিক শিষ্টাচারকে ভুলুণ্ঠিত করেছে। বিএনপি লালন করে প্রতিহিংসা, ষড়যন্ত্র আর পরশ্রিকাতরতা। তাদের মধ্যে কৃতজ্ঞতাবোধ নেই। তারা জন্মলগ্ন থেকে রাজনীতির সুষ্ঠু ধারা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের পরিবেশকে কলুষিত করে আসছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অবশ্য বিএনপি এমনই এক দল যাদের কৃতজ্ঞতাবোধ কখনও ছিল না, এখনও নেই। দলগতভাবে তারা শিষ্টাচার বর্জিত দল। তিনি বলেন, ইতিহাসের চলিষ্ণু কলম লিখে যায় কত ইতিহাস। আমরা সেসব তুলে ধরে কাউকে বিব্রত করতে চাই না। কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা আমাদের সে শিক্ষা দেননি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাস বলে মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত সেনানিবাসে নিরাপদ অবস্থানে ছিলেন খালেদা জিয়া। জেনারেল জিয়া তাকে বার বার ক্যান্টনমেন্ট ছেড়ে আসতে বললেও তিনি সেনানিবাসের নিরাপদ ও বিলাসবহুল আতিথেয়তা ছাড়েননি। পরবর্তীতে এ নিয়ে তাদের পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহ তুঙ্গে উঠে। বিশিষ্ট কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরীর কলাম থেকে জানা যায়, জেনারেল জিয়া খালেদা জিয়াকে ডিভোর্স দেওয়ার মনস্থির করেছিলেন। সে সংকটকালে খালেদা জিয়ার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হস্তক্ষেপে তাদের সংসার জীবন রক্ষা পেয়েছিল। জিয়া পরিবারের সদস্যদের অনেক কীর্তি এদেশের মানুষ জানে। কিন্তু সেসব পরিবারের গÐি পেরিয়ে রাজনীতির মাঠে আসুক তা আমরা চাই না। কিন্তু বিএনপি নেতারা আজ সে প্যান্ডোরার বাক্স উন্মুক্ত করতে উস্কানি দিচ্ছেন স্পষ্টত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।