Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দাবানলই সর্বোচ্চ কার্বন নিঃসরণের কারণ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এখন প্রায়ই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাবানলের ঘটনা ঘটে। দাবানলের পরিমাণ এতটাই বেড়েছে যে সাইবেরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কে এ বছর কার্বন নিঃসরণের সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে এ দুর্যোগ। স¤প্রতি কোপার্নিকাস অ্যাটমসফিয়ার মনিটরিং সার্ভিসের এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর সিএনবিসি। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, তীব্র ও দীর্ঘমেয়াদি দাবানলের কারণে বছরে ১৭৬ কোটি টন কার্বন নিঃসরিত হয়, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক কার্বন নিঃসরণের এক-চতুর্থাংশেরও বেশি। উত্তর-পূর্ব সাইবেরিয়া, তুরস্ক ও পশ্চিম যুক্তরাষ্ট্রে ২০২১ সালে সর্বোচ্চ নিঃসরণ দেখেছে দাবানলের কারণে। দাবানলের কারণে পর্যুদস্ত হয়ে পড়েছে আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, গ্রিস, ইতালি. উত্তর মেসিডোনিয়া, স্পেন ও তিউনিসিয়ার মতো দেশগুলো। কোপার্নিকাসের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী মার্ক প্যারিংটন বলেন, বছরজুড়ে আমরা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র ও দীর্ঘমেয়াদি দাবানলের দেখা পেয়েছি। এর কিছু এমন পর্যায়ের ছিল, যা গত কয়েক দশকে দেখা যায়নি। মনুষ্যসৃষ্ট আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বেড়েছে পৃথিবীর তাপমাত্রা ও শুষ্ক হয়েছে আবহাওয়া, যা দিনশেষে দাবানলকে ত্বরান্বিত করেছে। ২০২০ সালে পৃথিবীর তাপমাত্রা ছিল রেকর্ড পরিমাণের। এখন পর্যন্ত বিশ্বে যে ১০ বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, তার মধ্যে ২০২১ সালও অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। গত জুলাইয়ে উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার বেশ কয়েকটি কাউন্টির বনে আগুন লাগে, যা তিন মাসেরও বেশি সময় দীর্ঘায়িত হয়। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দীর্ঘ দাবানল। ক্যালিফোর্নিয়া, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সৃষ্ট দাবানলের কারণে এ বছর ৮ কোটি ৩০ লাখ টন কার্বন নিঃসরিত হয়েছে। এ দাবানলের ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে আটলান্টিক মহাসাগর পেরিয়ে ইউরোপের বিশাল অংশজুড়ে। পূর্ব ও মধ্য ভ‚মধ্যসাগরীয় অঞ্চলের অনেক দেশও গ্রীষ্মকালজুড়ে বেশ কয়েকদিনব্যাপী তীব্র দাবানলের শিকার হয়েছে। যার কারণে বাতাসে ছড়িয়েছে সূ² কণা। আর এ সূ² কণার কারণে বাতাস তার গুণগত মান হারিয়েছে। গত জুলাইয়ে তুরস্কে দাবানল শুরু হলে বহু বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়, যা বনের বাস্তুসংস্থানের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলে। মার্ক প্যারিংটন আরো বলেন, বিশ্বের আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে উষ্ণতা বাড়ছে। ফলে আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি দাবানল ছড়ানোর জন্য অনুক‚ল হয়ে উঠছে। ২০২১ সালে পৃথিবীর আবহাওয়ার যে পরিবর্তন হয়েছে, তা দাবানলের জন্য আদর্শ। ফলে আবহাওয়া পরিবর্তন রোধ করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। সিএনবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ