বৃষ্টি, খারাপ আবহাওয়া, আলো স্বল্পতা সব মিলিয়ে ঢাকা টেস্টের প্রথম তিনটি দিনের স্বাভাবিক চিত্র ছিল। পাঁচদিনের একটি টেস্ট ম্যাচের তিনদিন যদি ঠিক মতো খেলাই না হয়, সে ম্যাচে আবার কিসের ফলাফল পাওয়া যাবে?। ম্যাচটি ড্র-ই হবে এমন কথা একবাক্যে বলেছিলেন প্রায় সবাই। কিন্তু এমন একটি ম্যাচেও যে হারের স্বাদ পাওয়া যায় সেটি যেন দেখিয়ে দিল বাংলাদেশ।
ম্যাচটির চতুর্থদিন পর্যন্ত ব্যাট করে পাকিস্তান ৪ উইকেট হারিয়ে ৩০০ রান করে। এরপর গতকাল বাংলাদেশ ব্যাট করতে নেমে যখন ৭৬ রান তুলে ৭টি উইকেট হারিয়ে ফেলে তখন সকলের মনে ধাক্কা দেয় বাংলাদেশ আবার এ ম্যাচে হেরে বসবে না-কি? তাও ইনিংস ব্যবধানে! সেই শঙ্কাটিই সত্যি হয়েছে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ম্যাচটিতে হেরেছে ৯ রান ও ইনিংস ব্যবধানে। নিজেদের প্রথম ইনিংসে টেনেটুনে ৮৭ রান করার পর আজ পঞ্চমদিন দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৫ রান করে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এর ফলে শেষ মূহুর্তে জয় পেয়ে পাকিস্তান বাংলাদেশকে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর টেস্টেও হোয়াইট ওয়াশ করেছে।
বাংলাদেশকে ম্যাচটিতে হারের লজ্জা থেকে বাঁচাতে প্রাণপণ চেস্টা করেছেন সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলেন না তারা। ওপেনার ও টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের চরম ব্যর্থতায় বাংলাদেশ হারের স্বাদই পেল। সাকিব বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন সাকিব। মুশফিক রান আউট হন ৪৮ রান করে। লিটন করেন ৪৫ রান। মুশফিক-লিটনের জুটি ভাঙার পর দলের হাল ধরেন সাকিব-মুশফিক। এরপর ড্র করতে লড়ছিলেন সাকিব-মিরাজ।
স্পিনার সাজিদ খান প্রথম ইনিংসে ৮টি উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪টি। মোট ১২টি উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২টি করে উইকেট নেন পেসার হাসান আলী ও শাহিন আফ্রিদি। সকালে তারাই ব্রেক থ্রু এনে দেন। এরপর বিকালের কাজটা করলেন স্পিনাররা।