বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বর্তমান সময়ে ইট তৈরীর অন্যতম উপকরণ কয়লার দাম অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ৭ টি ইট ভাটায় চলতি বছর নতুন ইট তৈরীতে ভাটা মালিকদের উৎপাদন ব্যয় প্রায় তিন গুণ বেড়ে গেছে।
অপর দিকে ইট তৈরীতে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ইট ভাটার মালিকরা প্রায় সব ধরণের নতুন ইটের দাম ২৫ থেকে ৩০ ভাগ বৃদ্ধি করার পাশা-পাশি কয়লার অপ্রতুলতার কারণে কাঁচা ইট পোড়াতে দেদারচ্ছে ইট ভাটায় কাঠ পোড়াতে বাধ্য হচ্ছেন।
জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে মাধাইনগর ও নওগাঁ ইউনিয়ন ২ টিতে এমএমবি ব্রিকস, এসএমবি ব্রিকস, সততা ব্রিকস, সাডিয়া ব্রিকস, বন্যা ব্রিকস, এইচ এম ব্রিকস ও মেঘনা ব্রিকস মোট ৭ টি ইট ভাটা রয়েছে। আর এ সকল ভাটার উৎপাদিত ইট এলাকার বাসা-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট ও সব ধরণের ঠিকাদারী কাজে তা ব্যবহার হয়ে আসছে। এ সকল ইট তৈরীতে ইট ভাটার মালিকরা যশোরের নওপাড়া ও পাবনা জেলার নগরবাড়ি থেকে কয়লা কিনে থাকেন। সম্প্রতিক সময়ে নির্মান সামগ্রী ইট তৈরীর অন্যতম উপকরণ কয়লার দাম গত বছরের ইট তৈরীর মৌসুমের চেয়ে বর্তমানে প্রায় তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার এমএমবি ইট ভাটার মালিক মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ২০২০ সালে নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের মে মাস পর্যন্ত ইট ভাটার মালিকরা প্রতি টন ইন্দোনেশিয়ার কয়লা ৮ হাজার থেকে ৮ হাজার ২’শ টাকায় কিনেছেন। অথচ এ বছর কয়লার বাজারে সাউথ আফ্রিকা ও অষ্টেলিয়ার কয়লা না পাওয়ার কারণে চলমান ইট তৈরীর ভরা মৌসুম নভেম্বর মাস থেকেই প্রতি টন ইন্দোনেশিয়ার কয়লা ২২ হাজার টাকায় কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। যে কয়লার দাম গত বছরের চেয়ে বর্তমানে প্রায় তিন গুণ বেশি।
তিনি আরো বলেন, সাধারণত একটি ইট ভাটায় এক টন কয়লা পুড়িয়ে ২ হাজার ৫’শ থেকে ৩ হাজার ইট তৈরী করা সম্ভব। এতে করে বর্তমান সময়ে এক টন কয়লা ২২ হাজার টাকা দরে কিনে ইট তৈরী করলে তাদের প্রতি হাজার ইটের উৎপাদন ব্যয় পড়ে প্রায় ১০ হাজার টাকার মতো। যা ২০২০ সালের ইট তৈরীর ভরা মৌসুমে যার উৎপাদন ব্যয় ছিল ৭ হাজার ৫’শ থেকে ৮ হাজার টাকা মাত্র। কয়লার দাম বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন আর্ন্তজাতিক বাজারে কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের কয়লার বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।
এ দিকে কয়লার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ইট ভাটা গুলোতে ইটের উৎপাদন ব্যয় সহনীয় রাখতে অসাধু ইট ভাটার মালিকরা দেদারচ্ছে পোড়াচ্ছেন কাঠ বলে জানান উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী আব্দুল গাফ্ফার। তিনি আরো জানান, ইট ভাটা গুলোতে এ ভাবে কাঠ পোড়ালে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। জীব- বৈচিত্রের উপর বিরুপ প্রভাব পড়বে।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার ইট ভাটার মালিক সমিতির সভাপতি মো. মোসলেম উদ্দিন জানান, বেশি দামে কয়লা কিনেই ইট ভাটার মালিকরা ইট পোড়াচ্ছেন। সেই সাথে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ইটের দামও বেড়ে যাচ্ছে। তবে ইট তৈরীর ব্যয় সংকুলানে কাঠ পোড়ানোর অভিযোগ সঠিক নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।