পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বিক্রয় সহকারী সৈয়দ আয়াজ উদ্দিন আহমেদ ও তার স্ত্রী শাহানা বিলকিসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার সংস্থার সহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এজাহারে তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারের তথ্য মতে, ২০১৯ সালের ২ এপ্রিল তিতাস কর্মকর্তা সৈয়দ আয়াজ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী শাহানা বিলকিসের সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে নোটিশ দেয় দুদক। এ প্রেক্ষিতে শাহানা বিলকিস ওই বছরেরই ৬ মে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। বিবরণীতে তিনি ৩৬ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের স্থাবর এবং ৭৯ লাখ ৯৪ হাজার ১৪০ টাকা মূল্যের অস্থাবরসহ মোট ১ কোটি ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৪০ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির ঘোষণা দেন। দুদকের অনুসন্ধানেও একই অর্থমূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। তবে দুদকের অনুসন্ধানে তার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ১৯ লাখ ৮১ হাজার ৬৪০ টাকা এবং পারিবারিক ব্যয় পাওয়া যায় ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
পারিবারিক ব্যয় বাদে তার নিট আয় বা সঞ্চয় পাওয়া যায় ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৪০ টাকা। এর বাইরে ১ কোটি ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের সম্পত্তি অর্জনে বৈধ কোন উৎস অনুসন্ধানকালে পাওয়া যায়নি।
দুদক সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে শাহানা বিলকিস ব্যবসা ও জমি চাষাবাদ করে এসব অর্থ আয় করেছেন বলে দাবি করলেও ট্রেড লাইসেন্সসহ সংশিষ্ট ব্যবসার এবং কৃষি আয়ের সপক্ষে গ্রহণযোগ্য কোনো প্রমাণাদি অনুসন্ধানকালে তিনি উপস্থাপন করতে পারেননি। প্রকৃতপক্ষে তিনি তার স্বামী তিতাস কর্মকর্তা সৈয়দ আয়েজ উদ্দিন আহমেদের অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ নিজের হেফাজতে রেখে বৈধ করার উদ্দেশ্যে একে অপরকে সহায়তা করেছেন। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও দ-বিধির ১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ধারায় অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।