বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নে পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পাওয়ায় চেয়ারম্যানের ছেলেসহ কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে বোমা ফাটিয়ে আনন্দ উল্লাসের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনটি হাতবোমাসহ চেয়ারম্যানের ছেলে ও এক কর্মীকে আটক করেছে। রোববার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলা করাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের বাগদুলি বাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনের সেতুর ওপর থেকে তিনটি হাতবোমাসহ তাদের আটক করে পুলিশ।
আটকরা হলেন- মৌরাট ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. হাবিবুর রহমান প্রামানিকের ছেলে শামীম প্রামানিক (৩৬) এবং চরহরিনাডাঙ্গা গ্রামের ইসলাম মন্ডলের ছেলে মো. জালাল মন্ডল (৩০)।
এ বিষয়ে পাংশা মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান জানান,পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মৌরাট ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান পুনরায় নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার পর ২৫-৩০টি মোটরসাইকেল নিয়ে চেয়ারম্যানের ছেলে ও কর্মী-সমর্থকরা সাবেক চেয়ারম্যান মো. শওকত আলী সরদারের বাড়ির সামনে মহড়া দিতে থাকেন। পরে তারা সেতুর ওপর বোমা ফাটিয়ে আনন্দ উল্লাস করতে থাকেন। এতে এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনটি হাতবোমাসহ চেয়ারম্যানের ছেলে ও তার সহযোগীকে আটক করি। তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মৌরাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও নৌকার প্রার্থী হাবিবুর রহমান জানান, আমি নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার পর আমার কর্মী সমর্থকরা আনন্দ উল্লাস করেন। এ সময় তারা দুই একটি পটকা ফুটিয়েছেন। কিন্তু সেটা কোনো বোমা নয়। তাছাড়া ওই সময় আমি ঢাকায় ছিলাম। ষড়যন্ত্র করে আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।