পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
১৯৪৭ সালের ২ নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’র অভিযোগ আনে। মামলা দায়ের করে। তদন্ত শেষে চার্জশিটও দেয়। সেই দুদকের বিরুদ্ধেই অনেক সময় ওঠে ক্ষমতার অপব্যহারের অভিযোগ। তবে এই ধারায় দুদক কর্মকর্তা অপরাধ করলেও এ বিষয়ে মামলা রুজুর দৃষ্টান্ত বিরল। আর এ কারণে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে উঠছে হরহামেশাই। দেখা গেল, অভিযোগ একজনের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ প্রমাণ করতে প্রয়োজন সাক্ষ্য-সাবুদ।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্মকর্তাকে (ই.ও.) অভিযোগের নথি ‘এনডোর্স’ করা মাত্র প্রথম কাজই হয়ে দাঁড়ায় রেকর্ডপত্র তলব। রেকর্ডপত্র হাতে পেলে তালিকা ধরে শুরু হয় তলব বা ‘ডাকাডাকি’। দুদকে ‘ডাক’ পাওয়া ব্যক্তিদের কে সাক্ষী হবেন আর কে আসামি হবেন- দুদক কর্মকর্তাই মালুম। তবে এমনভাবে তলব করা হয় যেন, ডাক পাওয়া ব্যক্তিটি দেশের সেরা দুর্নীতিবাজ। তার ট্যাক্স ফাইল, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, পরিবার বিত্তান্ত-সব হাতিয়ে নেয়া হয়। জব্দ করা হয়। দেয়া হয় দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা। প্রতিটি পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয় ‘মিডিয়া ট্রায়াল’।
এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়- দুদকের তলবি নোটিশ পাওয়া ব্যক্তিটির চেয়ে ভয়ঙ্কর আর কেউ হতে পারে না। এক চেটিয়া মিডিয়া ট্রায়ালে চাপা পড়ে যায় কথিত ‘দুর্নীতি’র ফ্যাক্ট-ফিগার। দুদকের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একশ্রেণির মিডিয়া অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মেতে ওঠে চাঞ্চল্যকর তথ্য পরিবেশনের প্রতিযোগিতায়। আর এসবের নির্মম বলি হোন অনেক নিরপরাধ, অসহায় সাধারণ মানুষও।
দুদক কর্মকর্তাদের ক্ষমতার দর্পে নিরপরাধ মানুষটির ক্ষীণকণ্ঠ তখন কোনো মিডিয়া কর্ণপাতও করে না। যার দরুন দুদকের মতো বহুস্তর বিশিষ্ট তদন্ত প্রক্রিয়ার মধ্যেও ৩৩টি মামলায় ঘটেছে জাহালাম-কান্ড। কোনো ধরনের অপরাধ না করেও অনেকে দুদকের মামলার আসামি হয়েছেন। তদন্তে অব্যাহতি পেয়েছেন। কখনওবা বিচারে বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
কিন্তু অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিটিকে অনুসন্ধান-তদন্তের নামে হয়রানি করলেও পাল্টা মামলা হয় না। দুদকের ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দাপটের জয়ী হয়। এমন বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে এবার অযথা ক্ষমতা না দেখাতে দুদককে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, ক্ষমতা থাকলেই ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না! বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চেয়ে করা এক আবেদনের শুনানিকালে গতকাল রোববার বিচারপতি এম.ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
দুদকের উদ্দেশ্যে আদালত বলেন, একজন মানুষকে ২০১৯ সালে নোটিশ দিলেন। কিন্তু এখনও নিষ্পত্তি করলেন না। আবার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিলেন। তার বিদেশ যাত্রায় কেয়ামত পর্যন্ত কী নিষেধাজ্ঞা থাকবে? এরপর আদালত আফতাব অটোমোবাইল লিমিটেডের কো-অপারেটিভ ডিরেক্টর মো. মামুন খানের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- এই মর্মে রুল জারি করেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. জয়নাল আবেদীন। তিনি বলেন, ২০১৯ সালের মার্চ মাসে আফতাব অটো মোবাইল লিমিটেডের কো-অপারেটিভ ডিরেক্টর মো. মামুন খানের বিরুদ্ধ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক নোটিশ দেয়। তাকে দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে হয়। সে অনুযায়ী মামুন খান দুদক কার্যালয়ে হাজির হন। এরপর ২০১৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর মামুন খানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ইমিগ্রেশনে পুলিশকে চিঠি পাঠায় দুদক। দুদকের চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত আগস্টে হাইকোর্টে রিট করেন মামুন খান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।