পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সড়কে শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর মিছিল যেন থামছেই না। এবার রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় লরির চাপায় মাহাদী হাসান লিমন নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তবে নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল রামপুরা ব্রীজের ওপর লাল কার্ড প্রদর্শন করে মিছিল ও মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আজকের কর্মসূচি ঘোষণা করে মানববন্ধন শেষ হয়। আজ রোববার শাহবাগ থেকে লাশের প্রতীকী মিছিল বের করার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এদিকে গতকাল বিমানবন্দর এলাকায় লরির চাপায় মাহাদী হাসান লিমন গ্রীন ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল বিভাগের ৪র্থ বর্ষে পড়তেন বলে জানা গেছে। বিমানবন্দর থানার এসআই আসাদুজ্জামান শেখ বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় লিমন মোটরসাইকেল নিয়ে কাওলা পদ্মওয়েল আউট গোয়িংয়ে এলে একটি লরি তাকে চাপা দেয়। এতে গুরুতর আহত হয় সে। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ৩টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, মৃত যুবকের কাছে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়। তার বাড়ি জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার দমদমা পশ্চিম গ্রামে। বাবার নাম মোফাজ্জল হোসেন।
খালিদ মাহমুদ টুটুুল নামে নিহতের এক সহপাঠী জানান, শেওড়াপাড়ার গ্রীন ইউনিভার্সিটিতে পড়েন তারা। মাহাদী থাকে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে। শুক্রবার রাতে গ্রামের বাড়ি জয়পুরহাট থেকে তার মা ঢাকায় এসেছিলেন। তখন মাহাদী ঝিগাতলায় খালার বাসায় ছিলেন। মাকে আনার জন্য খালার বাসা থেকে নিজের মোটরসাইকেলে নিয়ে উত্তরাতে যাচ্ছিলেন তিনি।
শুধু লিমনই নয়, চলতি বছরের নভেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও নটরডেম কলেজের ২ জনসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫৪ জন শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। গতকাল রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন জানায়, নভেম্বর মাসে দেশে ৩৭৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় মোট নিহত হয়েছে ৪১৩ জন এবং আহত হয়েছে ৫৩২ জন। নিহতের মধ্যে নারী ৬৭ জন এবং শিশু ৫৮ জন এবং শিক্ষার্থী ৫৪ জন। এছাড়া এই সময়ে শুধুমাত্র ঢাকায় ১৪টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৬ জন।
অপরদিকে, নিরাপদ সড়কের দাবিতে গতকাল শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে একটি মিছিল নিয়ে রামপুরা ব্রিজে আসেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে লাল কার্ড প্রদর্শন কর্মসূচি শেষে তারা নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সোহাগী সামিয়া বলেন, আজ দুপুর ১২টায় রামপুরা ব্রিজের ওপর মানববন্ধন করব। মানববন্ধনে আমরা সড়কের অব্যবস্থাপনার সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট, তাদের প্রতি ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করব। এ ছাড়া আমাদের অভিভাবকসহ সব মানুষকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, কালকের কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করার জন্য। এছাড়া আজ শাহবাগ থেকে প্রতীকী লাশ নিয়ে মিছিল করবে তারা।
মানববন্ধন থেকে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল্লাহ মেহেদী বলেন, আমরা সারা দেশে বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ সব ধরনের গণপরিবহণে হাফ পাস চাই। আস্তে আস্তে সারা দেশে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আবদুল্লাহ মেহেদী বলেন, গতকাল আমাদের এক ভাই সড়কে মারা গেছে। নিরাপদ সড়কের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।