পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে বিদেশি পিস্তল, গুলি ও ইয়াবাসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার র্যাব-৩ এর একটি দল রাজধানীর পল্টন এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। গ্র্রেফতারকৃতরা হলো- মো. মেহেদী আলম (৪২) ও তার সহযোগী যুবরাজ খান (৩২)। এ সময় ওই বাসা ও গ্রেফতার দুজনের দেহ তল্লাশি করে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন, ২ রাউন্ড গুলি, ৩০০ পিস ইয়াবা, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি চাপাতি, ৫টি ছুরি, ১টি সুইস গিয়ার চাকু, ২টি প্লাস, ৬টি কাচি, ১টি স্ক্রু-ডাইভার, ৪টি অ্যান্টিকাটার, ১টি হাতুড়ি, ২টি পাসপোর্ট, ১০টি নকল সিল, ১৪টি চাঁদা আদায়ের রশিদ বই এবং ২টি প্রেস আইডি কার্ড জব্দ করা হয়। র্যাব জানায়, মতিঝিল এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী মেহেদী ও তার সহযোগী যুবরাজ। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। মেদেহী এর আগে গ্রেফতার ও যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী ওরফে সম্রাটের অন্যতম সহযোগী ছিলেন।
র্যাব-২ এর সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক জানান, বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে, যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী ওরফে সম্রাটের সহযোগী শীর্ষ সন্ত্রাসী মেহেদীর নেতৃত্বে পল্টন, মতিঝিল, শাহজাহানপুর ও তার আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করছে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৩ ছায়া তদন্ত শুরু করে ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ভোরে র্যাব-৩ এর একটি দল রাজধানীর পল্টন এলাকার একটি বাসায় অভিযান পরিচালনা করে মেহেদী আলম ও সহযোগী যুবরাজকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, র্যাব-৩ জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে, পল্টন, মতিঝিল, শাহজাহানপুর ও তার আশপাশের এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করার কাজে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার করে আসছিল তারা। মেহেদীর নেতৃত্বে তার সহযোগীরা অস্ত্র প্রদর্শন করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করত এবং সাধারণ জনগণকে নির্যাতন ও হয়রানি করত। তারা পুলিশ পরিচয় দিয়ে রাস্তায় পথচারীদের আটক করে মোবাইল ফোন, মানিব্যাগসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করত। এছাড়া মেহেদী মিথিলা এন্টারপ্রাইজের নামে পল্টন এলাকায় মোটরসাইকেল পার্কিংয়ে চাঁদা আদায় করত। তার কাছে ২টি প্রেস আইডি কার্ড পাওয়া যায়, যা সে সাধারণ জনগণকে হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করার জন্য ব্যবহার করত। তার কাছে ১০টি বিভিন্ন রকমের সিল পাওয়া যায়, যা দিয়ে ভুয়া নথি তৈরি করে সে সাধারণ জনগণকে হয়রানি করত। তাদের বিরুদ্ধে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় অস্ত্রসহ ৫টি মামলা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।