টিকেটবিহীন, মদ্যপ ও নেশাগ্রস্থ দুর্বৃত্তরা লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে হওয়া ইউরোর ফাইনালের দিন ব্যপক প্রাণহানির কারণ হতে পারত বলে উল্লেখ করেছে একটি তদন্ত দল। ইতালি-ইংল্যান্ডের মধ্যে হওয়া ফাইনালের দিন গেট ভেঙে কয়েক হাজার টিকেটবিহীন দর্শক ঢুকে পরে স্টেডিয়ামে।
তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছেন বার্নোস লুসি। তিনি জানিয়েছেন, এদিন ম্যাচকে ঘিরে পরিকল্পনার ব্যপক ঘাটতি ছিল। যার কারণে অবৈধভাবে দুই হাজার মানুষ টিকেট ছাড়া স্টেডিয়ামে ঢুকে পরে। তিনি এটিকে জাতির লজ্জাজনক দিন হিসেবে অভিহিত করেন।
তিনি তার রিপোর্টে বলেছেন ১১ জুলাই হওয়া ফাইনালটিতে পরিকল্পনার সমষ্টিগত ত্রুটি ছিল। যার মধ্যে রয়েছে মাঠের নিরস্ত্র নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিল অনভিজ্ঞ। কারণ মহামারীর কারণে অভিজ্ঞ অনেকেই ছিলেন না। তাছাড়া মাঠের বাইরের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য পুলিশ দেরি করে এসেছিল।
তাছাড়া আরেকটি কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে সেটি হলো সকলে জানত
করোনার কারণে ৯০ হাজার ধারণক্ষমতার ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ২৫ হাজার আসন ফাকা থাকবে। যেহেতু এই আসনগুলোর টিকেট ছিল না, তাই অনেকে পরিকল্পনা করেছিল জোর করে ঢুকে পরবে। তদন্ত রিপোর্টে বলেন বার্নোস লুসি।
তিনি তার তদন্ত রিপোর্টে আরো বলেন, ‘আমাদের রোল মডেলরা (ফুটবলাররা) ৫৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বড় কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলতে নামে। কিন্তু টিকেটবিহীন, মাদকাসক্ত ও মদ্যপ্যরা তাদেরকে নিচে নামিয়ে দেয়। তারা শারীরিকভাবে অক্ষম, পুলিশ, মাঠের নিরাপত্তাকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের উপর হামলা করেছে।’
‘আমরা সত্যিকারের ভাগ্যবান যে এর চেয়ে বেশি বা ভয়াবহ পরিস্থিতি বা জান মালের ক্ষতি হয়নি। ভবিষ্যতে ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে কেউ যেন এমন কিছু করতে না পারে সে ব্যপারে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এ রিপোর্টের রিভিউতে বলা হয় সেদিন যদি ইংল্যান্ড জয় পেত তাহলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হত। কারণ বাইরে অনেক মানুষ অপেক্ষা করছিল ইংল্যান্ড জিতলেই স্টেডিয়ামের ভেতরে ঢুকে পরবে।
অ্যালকোহল ও মাদক বড় ভূমিকা রেখেছে এমন পরিস্থিতির জন্য। অনেকেই খেলা শুরু হওয়ার ৮ ঘন্টা আগে স্টেডিয়াম এলাকায় চলে আসে এবং অ্যালকোহল ও মাদক গ্রহণ করে।
তাছাড়া স্থানীয়ভাবে আরোপ করা
করোনা নিষেধাজ্ঞার কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। কারণ
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বেশি লোকবল ম্যাচের জন্য পাওয়া যায়নি।