Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাছের কাছে আশীর্বাদ নিতে বললেন ভারতের মৎস্যমন্ত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৬ এএম

ভারতে গরুর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধের দাবিতে অনেক দিন থেকেই সরব বিভিন্ন রাজ্য, বিশেষ করে বিজেপি শাসিত অঞ্চলগুলো। এ নিয়ে প্রায়ই সহিংসতার খবর পাওয়া যায়। এছাড়া কয়েকদিন আগে গুজরাটের একাধিক শহরে প্রকাশ্যে আমিষ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় সরকার। এবার ভারতের কেন্দ্রীয় মৎস্য ও পশুপালন মন্ত্রী যা বলেছেন তাতে সন্দেহ দেখা দিয়েছে, তাহলে কি দেশটিতে এবার মাছ খাওয়াও বন্ধ হয়ে যাবে? এর কারণ, মাছ না খেয়ে তার থেকে আশীর্বাদ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার সদস্য পুরুষোত্তম রূপালা। এ বিষয়ে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন মৎস্য অবতারের কথা। ভারতীয় মন্ত্রীর মতে, মাছ দেবী লক্ষ্মীর ‘বোন’। তাই মাছের কাছে আশীর্বাদ নেওয়া উচিত। সম্প্রতি গুজরাটের এক অনুষ্ঠানে পুরুষোত্তম রূপালা বলেন, দেবী লক্ষ্মীর বাবার বাড়ি সমুদ্র। আবার মাছও সমুদ্রের কন্যা। এক অর্থে, দেবী লক্ষ্মী এবং মাছ দুই বোন। আপনারা দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ চাইলে তার বোনেরও আশীর্বাদ প্রার্থনা করবেন। মৎস্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস লিখেছে, বিজেপি ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই ভারতবাসীর খাদ্য স্বাধীনতা খর্ব হয়েছে। এবার কি বাঙালির প্রিয় মাছের ওপর কোপ পড়বে? মোদীর মন্ত্রিসভার সদস্যের মন্তব্যে অনেকেই তেমন ইঙ্গিত পাচ্ছেন। সংবাদমাধ্যমটির ভাষ্য, ভারতে এর আগে গরুর মাংস বহন বা রাখার জন্য পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এবার বাঙালির প্রিয় খাদ্য মাছ নিয়ে এমন মন্তব্যেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে হিন্দুত্ববাদের নামে মাছের ওপর কোপ বাঙালি মানবে না, এ কথা বলাই বাহুল্য। তাই ‘নিরামিষ খাওয়ার উপকারিতা’ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের প্রচারণা অন্তত পশ্চিমবঙ্গে খাটবে বলে মনে হয় না। হিন্দুস্তান টাইমস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ