Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খুব কাছাকাছি নতুন দুটি কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৬ এএম

এ যাবতকালের মধ্যে খুব কাছাকাছি বিশাল আকারের দুটি কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান পেয়েছেন জ্যোতির্বিদরা। এর দূরত্ব মাত্র ৮ কোটি ৯০ লাখ আলোকবর্ষ। এর অবস্থান এনজিসি ৭৭২৭ নামের ছায়াপথে। এর আগে যেসব কৃষ্ণগহ্বর আবিষ্কৃত হয়েছে তার দূরত্ব ৪৭ কোটি আলোকবর্ষ। ফলে নতুন আবিষ্কার করা কৃষ্ণগহ্বর সবচেয়ে কাছের। তবে এই দুটি কৃষ্ণগহ্বর বা ব্লাকহোলের মধ্যে দূরত্ব ১৬০০ আলোকবর্ষ। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই দুটি কৃষ্ণগহ্বর ক্রমশ বড় হবে এবং একটি আরেকটির কাছাকাছি চলে আসছে। একসময় তারা একটি আরেকটির সাথে মিশে যাবে। এর মধ্য দিয়ে দুই কৃষ্ণগহ্বর মিলে একটি বিশাল কৃষ্ণগহ্বরে পরিণত হবে। এই আবিষ্কারের ফলে শুধু এটাই প্রমাণ হয়নি যে, এনজিসি ৭৭২৭ ছায়াপথ এই দুটি ছায়াপথের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে। একই সাথে বিস্ময়কর সব তথ্য দিচ্ছে যে, কিভাবে বিশাল ভরের ব্লাকহোলগুলো একটির সাথে আরেকটি সংযুক্ত হয়। ফ্রান্সের স্ট্রাসবোর্গ অবজার্ভেটরির জ্যোতির্বিদ কারিনা ভোগেল বলেছেন, প্রথমবারের মতো আমরা দুটি বিশাল ভরের ব্লাকহোলের সন্ধান পেলাম। তারা একটির খুব কাছে রয়েছে আরেকটি। এর আগের ব্লাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে মিলিত হওয়ার জন্য যে দূরত্ব বলা হয়েছিল, এদের ক্ষেত্রে সেই দূরত্ব অর্ধেকের কম। বিশাল ভরের এসব কৃষ্ণগহ্বরের জোড়া নিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের আগ্রহের বহু কারণ আছে। বেশির ভাগ ছায়াপথেই পাওয়া যায় বিশাল ভরের কৃষ্ণগহ্বর। এটি থাকে কেন্দ্রে- নিউক্লিয়াসের মতো। আর সবকিছু তাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। যখন দুটি কৃষ্ণগহ্বর একসাথে দেখা গেছে, তখন এ থেকে ইঙ্গিত মিলেছে যে, দুটি ছায়াপথ একত্রিত হয়েছে। আমরা জানি এ প্রক্রিয়া ঘটমান। মহাকাশে আমাদের সূর্য্যরে চেয়ে কোটি কোটি গুন ভারি বস্তু আছে। এসব নক্ষত্র বা বস্তু এত অবিশ্বাস্যরকম ভারি কেন হয় তার ব্যাখ্যা করে বিশাল ভরের এমন জোড়া কৃষ্ণগহ্বর। স্পেস ডটকম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ