মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মানুষের আগামী বহু বছর ধরে প্রতি বছর কোভিডের টিকা নেবার প্রয়োজন হতে পারে বলে বিবিসিকে দেয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ওষুধ কোম্পানি ফাইজারের প্রধান। ওই সাক্ষাৎকারে ড. আলবার্ট বুর্লা বলেছেন যে ''খুবই উঁচু মাত্রার সুরক্ষা'' নিশ্চিত করতে প্রতি বছর টিকা নেয়ার প্রয়োজন হবে।
সাক্ষাৎকারে ফাইজারের প্রধান নির্বাহী টিকা নিয়ে তার স্ত্রী মারা গেছেন এমন ভুয়া খবর ছড়ানোর কড়া সমালোচনা করেছেন। ফাইজারের প্রধান নির্বাহী বিবিসিকে এই সাক্ষাৎকার দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার আগে। তিনি এই সাক্ষাৎকার দেবার আগেই ব্রিটেন ২০২২ এবং ২০২৩ সালের জন্য অতিরিক্তি ১১ কোটি ৪০ লাখ কোভিড টিকা কেনার চুক্তি করেছে, যার মধ্যে পাঁচ কোটি ৪০ লাখ টিকা ব্রিটেন কিনবে ফাইজার থেকে, আর বাকি ছয় কোটি মডার্না থেকে।
ড. বুর্লা বলেন, করোনাভাইরাসের বেটা ভ্যারিয়েন্ট - যেটিও প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হয়েছিল - এবং ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট, যা প্রথম ধরা পড়ে ভারতে, সেগুলো মোকাবেলায় ফাইজারের টিকা কার্যকর করার পদক্ষেপ তারা ইতোমধ্যেই নিয়েছেন। যদিও তিনি বলেছেন, ওই দুটি ধরন মোকাবেলায় তাদের টিকায় তেমন কোন বদল ঘটাতে হয়নি। তিনি আরও বলেন, অমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে টিকা কার্যকর করার কাজ এখন তারা করছেন এবং আগামী ১০০ দিনের মধ্যে তাদের টিকা হালানাগাদ করার কাজ শেষ হবে।
ড. বুর্লা মনে করেন যে মহামারির সময় টিকা লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে, এবং এই টিকা না হলে "আমাদের সমাজের মূল কাঠামোই ঝুঁকির মুখে পড়ত"। ফাইজার আশা করছে যে এ বছর শেষ হবার আগেই তারা তাদের এমআরএনএ টিকার তিনশো' কোটি ডোজ সরবরাহ করতে পারবে এবং আগামী বছর তাদের পরিকল্পনা রয়েছে চারশো' কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করার। কোম্পানির প্রধান নির্বাহী বলেন, মানুষেকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেবার জন্য বিশ্ব জুড়ে একটা প্রতিযোগিতা চলছে, তবে ২০২২ সালে দেশগুলো "যত প্রয়োজন তত ডোজ টিকা পাবে"।
বিশ্বে স্বাস্থ্য বিষয়ক যেসব দাতব্য সংস্থা আছে, তারা বলছে যে ফাইজার, বায়োএনটেক এবং মডার্না এই মহামারির সময় যে পরিমাণ অর্থ বানিয়েছে তা অনৈতিক। এ বছর কোভিডের টিকা বিক্রি থেকে ফাইজার আয় করবে ৩৫ বিলিয়ন বা সাড়ে তিন হাজার কোটি ডলার। তাদের শেয়ারের দামও এখন আকাশচুম্বী হয়ে উঠেছে। এরপরেও পৃথিবীর অনেক দেশে বেশিরভাগ মানুষ অন্তত কোভিডের এক ডোজ টিকা পেলেও আফ্রিকার অনেক দেশের মানুষ টিকা প্রায় পায়ইনি - এসব দেশে প্রতি বিশ জনে একজনেরও কম মানুষ টিকা পেয়েছে।
মুনাফা লাভের প্রশ্নে কোনরকম দুঃখ প্রকাশ করেননি ড. বুর্লা। তিনি বলেছেন, "মূল কথা হল, লাখো লাখো জীবন রক্ষা পেয়েছে। "ট্রিলিয়ন ডলারের বিশ্ব অর্থনীতিকে আমরা ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচিয়েছি। আগামী মহামারি রুখতে উদ্ভাবনের কাজে এটা জোরালো অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করবে," এই মন্তব্য করেন তিনি। মহামারিকে কাজে লাগিয়ে লাভ করার অভিযোগ তিনি নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, ধনী দেশগুলোর জন্য এই ব্যয় "সস্তার খাবার কেনার খরচের সমান", তবে নিম্ন আয়ের দেশগুলোকে টিকা বিক্রি করা হয়েছে কোন মুনাফা না রেখে। সূত্র: বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।