ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৩ ডিসেম্বর থেকে নিজ দেশে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। ওয়ানডে টি-টোয়েন্টি সিরিজের সবগুলো ম্যাচ হবে করাচির ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে সিরিজ খেলেনি। এরমধ্যে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের তো পাকিস্তানে পাঠিয়েও ফিরিয়ে নিয়ে যায় দেশটির সরকার।
এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যেন নিরাপত্তা নিয়ে কোন প্রকার প্রশ্ন না উঠে এবং কোন ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রয়োগ করেত যাচ্ছে দেশটি। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে এই সিরিজটিকে সামনে রেখে স্পেশাল সিকিউরিটি এজেন্সির ৮০০ কমান্ডোকে রাস্তায় নামানো হবে। সবমিলিয়ে ১ হাজার ৫০০ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য থাকবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।
তারা থাকবেন করাচি বিমানবন্দরে, আশে পাশের রাস্তায়, হোটেলে ও স্টেডিয়ামে। করাচি স্টেডিয়ামে বানানো হবে অস্থায়ী ক্যাম্প। তাছাড়া রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে থাকবে সোয়াট দলের সদস্যরা।
পাকিস্তানের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পিসিবির কর্মকর্তারা আসন্ন এ সিরিজ নিয়ে একটি বৈঠক করেন। সেখানে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। এরপর থেকে যে দেশই পাকিস্তান সফরে যায় তাদের কঠোর নিরাপত্তা দেয়া হয়।