মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাঠাগার থেকে বই ধার নিলে পড়া শেষে তা ফেরত দেয়াই নিয়ম। তবে অনেকেই ধার নেন, কিন্তু বই ফেরত দেন না। নিজের কাছে রেখে দেন। এবার যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাগার থেকে ধার নেয়া বই ফেরত দেয়ার একটি ঘটনা বেশ আলোচিত হয়েছে। কেননা, বইটি ধার নেয়া হয়েছিল ১৯১১ সালে। ঠিকই পড়েছেন, ১১০ বছর পর ধার নেয়া বইটি পাঠাগারে ফেরত পাঠানো হয়েছে!
ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় আইদাহ অঙ্গরাজ্যর বোইস পাবলিক লাইব্রেরিতে। এই পাঠাগার থেকে ১৯১১ সালের ৮ নভেম্বর পড়ার জন্য একটি বই নিয়েছিলেন একজন পাঠক। বইটির নাম দ্য নিউ ক্রোনিক্যালস অব রেবেকা। মার্কিন লেখক কেট ডগলাস উইগিনের লেখা বইটি ১৯০৭ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও বইটি আর পাঠাগারে ফেরত দেয়া হয়নি। মাঝে পেরিয়ে গেছে এক শতকের বেশি সময়। সম্প্রতি বইটি পাশের গার্ডেন সিটির একটি পাঠাগারে ফেরত দেন একজন। ওই পাঠাগারের কর্মীরা দেখেন, বইটিতে আইদাহর সেই পাঠাগারের ট্যাগ বসানো রয়েছে। পরে তারাই বইটি ফেরত পাঠান।
বোইস পাবলিক লাইব্রেরির সহকারী অ্যানি ম্যারি মার্টিন মজা করে বলেন, ‘আসলেই বইটি নিজের জায়গায় ফিরতে অনেক বেশি দেরি করে ফেলেছে!’ সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, ১১০ বছর পরও বইটি বেশ ভালো অবস্থায় রয়েছে।
পাঠাগারের নিয়ম মানলে ১১০ বছর ধরে বইটি নিজের কাছে রাখায় ওই পাঠকের ৮০০ ডলারের বেশি জরিমানা হওয়ার কথা। তবে ওই পাঠকের কাছ থেকে জরিমানা নেয়া হবে না। কেননা, বইয়ের দামের চেয়ে জরিমানার পরিমাণ বেশি হলে, তা আর নেয় না পাঠাগার কর্তৃপক্ষ। দ্য নিউ ক্রোনিক্যালস অব রেবেকা-এর দাম মাত্র দেড় ডলার। যদিও বইটি কে ধার নিয়েছিল, এত বছর পরে এসে কে ফেরত দিল, এত দিন বইটি কোথায় ছিল-এমন নানা প্রশ্নের উত্তর জানায়নি পাঠাগার কর্তৃপক্ষ। সূত্র : এনবিসি নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।