Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কুশপুত্তলিকাদাহ

সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০২১, ৫:২৪ পিএম

খুন, গুম, ধর্ষন ত্রাণ আত্মসাৎ, আওয়ামী লীগ নেতা শরবত আলী হত্যাসহ ১৫ মামলার আসামী সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিমের ফাঁসি এবং আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কারের দাবিতে ফুঁসে উঠেছেন ইউনিয়নবাসী বুধবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শত শত এলাকাবাসী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ এবং বিক্ষোভ মিছিল করে তার কুশপুত্তলিকাদাহ করে।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে খাজরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রুহুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বীর মুুক্তিযোদ্ধা শাহবুদ্দিন সরদার, ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা অশীথ ঘোষ, মাসুদর রহমান প্রিন্স,সিরাজুল ইসলাম, গনেষ মন্ডল, জাকিরুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন প্রমূখ।

এসময় বক্তরা বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিমের বাবা মোজাহার উদ্দিন সরকারের গেজেটভূক্ত একজন কুখ্যাত রাজাকার। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় শাহনেওয়াজ ডালিমের পিতা মোজাহার উদ্দিন গদাইপুর গ্রামের নওশের আলী সরদারকে মেলেটারি ও রাজাকার ক্যম্পে তুলে নিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে। ইউপি চেয়ারম্যান ডালিমও তার পিতার মত ঘের দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা শরবত মোল্লাকে হত্যা করে। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতা শরবত, টুম্পা ধর্ষন ও হত্যাসহ ১৫টি মামলা রয়েছে। অবিলম্বে সন্ত্রাসী দূর্নীতিবাজ ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিমকে গ্রেফতারসহ আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কার এবং মহান স্বাধীনতার বিজয়ের এই মাসে রাজাকার সন্তানকে ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন না দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কষন করেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কার সহ স্বাধীনতার বিজয়ের মাসে একজন রাজাকারের সন্তান হিসাবে শাহনেওয়াজ ডালিমের খাজরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকার মনোনয়ন না দেওয়ার দাবি জানিয়ে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-
সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রুহুল কুদ্দুস মোল্লা।

লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, আশাশুনি উপজেলার সরকারি গেজেটভূক্ত রাজাকারের তালিকায় ১২ নং ক্রমিকে ও সংশোধিত তালিকায় ১৭৬ নং ক্রমিকে ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিমের পিতা মোজাহার উদ্দিন সরদারের নাম তালিকা ভূক্ত রয়েছে। তার বড় ভাই আব্দুল আলিম আশাশুনি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ছিলেন। তার অপর ভাই জুলফিকার জুলি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও অপর ভাই আব্দুস সালাম বাচ্চু, উপজেলা বিএনপির কার্য নির্বাহী পরিষদের সদস্য। ১৪ বছর আগে শাহনেওয়াজ ডালিম তার আপন ফুফাত ভাই আশাশুনি উপজেলার চাপড়া গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রাশেদ আহম্মেদ খোকার মৎস্য ঘেরের কর্মচারী ছিলেন। ডালিম আপদমস্তক বিএনপি পরিবারের লোক হয়ে স্থানীয় এমপির হাত ধরে ২০০৮-২০০৯ সালে আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে যুগ্ম আহবায়ক হিসাবে পদার্পণ করেন। পরবর্তীতে আশাশুনি থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ পেয়ে যান।
রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে চাকরি তদ্বীর থেকে শুরু করে টেন্ডারবাজী, ঘের দখল, ঘের মালিক ও সংখ্যালঘু ঘের মালিকদের হারীর টাকা আত্মসাৎ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হয়ে টি.আর, জি.আর, কাবিখা, কাবিটা, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ