Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গোড়ায় গলদ দেখছেন মুমিনুল

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

 টেস্টে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের অবস্থা খুবই নাজুক। চট্টগ্রাম টেস্টেও ছিল যাচ্ছেতাই। বিশেষ করে ওপেনিং জুটির বেহাল দশা পাকিস্তানের বিপক্ষে সাগরিকায় আবার দেখা গেছে। দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম আর সাইফ হাসানের সঙ্গে ব্যর্থতার মিছিলে যুক্ত ছিলেন নাজমুল হাসান আর খোদ অধিনায়ক মুমিনুল হক। টেস্টে বাংলাদেশের ভরসার বড় জায়গা অধিনায়ক দুই ইনিংস মিলে করেছেন মাত্র ৬ রান। প্রথম ইনিংসে ৬ করে ফেরার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ফিরেছেন শূন্য রানে। অধিনায়কের মতে, কাজ না হলে মানুষ পরিবর্তনের চিন্তার কথা ভাবতে হবে তাদের।
চট্টগ্রাম টেস্টে বলার মতো অনেক কিছুই ছিল বাংলাদেশের। প্রথম ইনিংসে দ্রæত ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মুশফিকুর রহিম আর লিটন দাসের লড়াই। ২০৬ রানের জুটি, লিটনের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি, মুশফিকের ৯১। এ দুইয়ের দারুণ ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসের সংগ্রহ ছিল ৩৩০। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে তাইজুল ইসলামের ৭ উইকেট শিকার ৪৪ রানের লিড এনে দিলেও দ্বিতীয় ইনিংসে আবার টপ অর্ডারের ব্যর্থতা সেই সুযোগ কাজে লাগাতে দেয়নি বাংলাদেশকে। দুই ইনিংসেই অধিনায়ক তাই গলদ দেখছেন ‘প্রথম ঘণ্টা’র। বাংলাদেশের ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে গিয়ে উত্তরটা পেয়েছেন মুমিনুল, ‘আমি মনে করি, দুই ইনিংসেই প্রথম ঘণ্টার ব্যাটিংয়ে হেরেছি আমরা। যদি আমরা দুই ইনিংস মিলিয়ে আরও ১০০ রান তুলতে পারতাম, তাহলে পরিস্থিতি অন্য রকম হতে পারত।’ শাহিন শাহ আফ্রিদির বোলিং তোপে বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছিলেন বাংলাদেশের টপ অর্ডার। মুমিনুল এখন নতুন বলেও ব্যাটিংয়ে উন্নতির তাগাদা দিচ্ছেন, ‘নতুন বলে আমাদের ব্যাটিংয়ের উন্নতি করতে হবে।’
ওপেনিংয়ে সাদমানের অভিজ্ঞতা ৯ টেস্টের, সাইফ খেলেছেন ৬ষ্ঠ টেস্ট। এই টেস্টের আগে তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত খেলেছেন ১০ টেস্ট। শান্ত এই টেস্টে ব্যর্থ হলেও গত বছরখানেক ধরে টেস্টে ভাল খেলছেন। সাদমান জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পেয়েছেন এক সেঞ্চুরি। সাইফের অবস্থা বেশ নাজুক। ৬ টেস্টে তার গড় ১৪.৪৫। রান তো পাচ্ছেনই না, ক্রিজে যতক্ষণ থাকছেন তাক দেখে মনে হয়েছে আনকোরা। শর্ট বলের বিপক্ষে দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে দৃষ্টিকটুভাবে, টেকনিকের অন্য সব দিকও ভাবনার জায়গা তৈরি করেছে।
তামিম ইকবাল না থাকলে ওপেনিংয়ে ঘাটতি প‚রণে আরও বিকল্পের দিকে তাকানো যায় কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়কের আভাস, বদলের চিন্তা আছে জোরালো, দরকার হলে বিবেচনায় আসবেন ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞরা, ‘আপনার অফিসে কাজ করছেন কিন্তু কোনো জুনিয়র কোনো কাজ করতে না পারে তাহলে অবশ্যই আপনার তো মানুষ পরিবর্তন করতে হবে। যদি ওদের দিয়ে কাজ করাতে না পারেন তাহলে অভিজ্ঞদের দিয়ে কাজ করাতে হবে। আপনি যা বলছেন তার সঙ্গে একমত। কাজ না করলে অভিজ্ঞদের দিয়ে কাজ করাতে হবে। আমার কাছে মনে হয় ওভাবে চিন্তা করা উচিত।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ