পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রয়োজনীয় সচল গাড়ির অভাবে রাষ্ট্রীয় সড়ক পরিবহন সংস্থার (বিআরটিসি) বরিশাল বাস ডিপোটি কাক্সিক্ষত যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে পারছে না। দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র সরকারি এ ডিপোটিতে ৭টি দোতালাসহ প্রায় ৭০টি বাসের মধ্যে বিভিন্ন রুটে নিয়মিত চলছে ৩৮টি। ১৮টি বাস সম্পূর্ণ চলাচল অযোগ্য বিধায় নিলামে ওঠার অপেক্ষায়। ৭টি চলছে দীর্ঘ মেয়াদী ইজারায়। দুটি মেরামত করে যেকোন জরুরি প্রয়োজনে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা ছাড়াও বরিশাল বিশ^বিদ্যলয়ের জন্যও ৪টি দ্বিতল বাস বর্তমানে অপেক্ষমান আছে। করোনার আগে বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ক্যাম্পাসে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্বপালন করেছে সংস্থাটি। তবে গত মাসে বিশ^বিদ্যালয় খুললেও এখনো সব বাস গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। তবে নানামুখী সীমাবদ্ধতার মধ্যেও কুয়াকাটা থেকে উত্তরের পঞ্চগড় পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করছে সংস্থাটি। মাসে প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করে বরিশাল বাস ডিপোটি পরিচালন মুনাফায় ফিরলেও দু’দফায় করোনা মহামারী সঙ্কটে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা ছাড়াও জ্বালানি স্পেয়ার্স এবং টায়ারের দাম বকেয়া পড়ে আছে। তবে ধীরে ধীরে সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌছার দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কর্তৃপক্ষ।
বিআরটিসির বরিশাল বাস ডিপোটি বর্তমানে পদ্মা সেতুর পশ্চিম প্রান্তে মাদারীপুরের বাংলাবাজারে প্রতিদিন গড়ে ২০টি বাতানুক‚ল বাসে যাত্রী পরিবহন করছে। এর বাইরে বরিশাল থেকে রংপুর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সাতক্ষীরার সুন্দরবন সংলগ্ন মুন্সিগঞ্জ, খুলনা, গোপালগঞ্জ, পাথরঘাটা, কুয়াকাটা, আমুয়াসহ বিভিন্ন রুটে যাত্রী পরিবহন করছে। তবে প্রয়োজনীয় বাসের অভাবে এ ডিপোটি থেকে আরো বেশ কয়েকটি জনগুরুত্বপূর্ণ রুটে যাত্রী পরিবহন করা যাচ্ছে না।
সম্প্রতি কুয়াকাটার সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ নিরবচ্ছিন্ন করতে লেবুখালীতে পায়রা সেতু চালু হলেও সংস্থাটি বরিশাল-কুয়াকাটা রুটে বাতানুক‚ল বাস সার্ভিসের কাক্সিক্ষত সম্প্রসারণ করতে পারেনি। ডিপোটির ১৩টি বাতানুক‚ল বাসের ৯টি চলছে বরিশাল-কাঠালবাড়ী রুটে অপর ৪টির মাত্র ১টি বরিশাল-কুয়াকাটা রুট ছাড়াও অন্য দুটি রুটে। বরিশাল ডিপোর জন্য আরা ৫টি এসি বাসের চাহিদা দেয়া হলেও সদর দফতর থেকে কোন সবুজ সঙ্কেত মেলেনি বলে জানা গেছে।
বিআরটিসির বরিশাল বাস ডিপোটি পরিচালন মুনাফায় চললেও প্রয়োজনীয় সচল গাড়ির অভাবে যাত্রী সেবা সম্প্রসারিত হচ্ছে না। গাড়ির অভাবে ইতোপূর্বে বরিশাল-পটুয়াখালী ও বরিশাল-বরগুনা জেলা সদর রুটের বাস সার্ভিস বন্ধ হয়ে গেছে। এ ডিপোর বাস সঙ্কটে দেশের অন্যান্য ডিপোর গাড়ি এ অঞ্চলের বিভিন্ন রুটে চলাচল শুরু করেছে।
বগুড়া বাস ডিপো পঞ্চগড়-বরিশাল-পটুয়াখালী, রাজশাহী-বরিশাল-আমুয়া ও রাজশাহী-বরিশাল-ঝালকাঠি রুটে বাস সার্ভিস চালু করেছে। অনুরূপভাবে দিনাজপুর ডিপোর গাড়ি বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত বাস সার্ভিস চালু করেছে। পাবনা বাস ডিপোর গাড়িও বরিশাল হয়ে কুয়াকাটায় যাচ্ছে। এমনকি সদ্য চালু হওয়া বিআরটিসির গোপালগঞ্জ ডিপোর বাস বেনাপোল-বরিশাল ও সাতক্ষীরা-কুয়াকাটা রুটে যাত্রী পরিবহন শুরু করেছে। এছাড়াও খুলনা বাস ডিপোর গাড়িও বরিশাল হয়ে নলছিটি এবং যশোর থেকে বরিশাল হয়ে কুয়াকাটায় যাত্রী পরিবহন করছে।
কিন্তু সচল বাসের অভাবে বরিশাল বাস ডিপোটি কাক্সিক্ষত যাত্রী সেবা সম্প্রসারণ করতে পারছে না। বাসের অভাবে বরিশাল থেকে গোপালগঞ্জ হয়ে খুলনা রুটে কাঙ্খিত যাত্রী সেবা দিতে পারছে না বিআরটিসি। অথচ এ রুটে বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে দুটি বিভাগীয় সদরের নিরবচ্ছিন্ন সড়ক পরিবহন নিশ্চিত হতে পারত। ডিপোটির অভ্যন্তরে অর্ধেকেরও বেশি জায়গাজুড়ে অচল বাস পড়ে আছে।
এসব বিষয়ে সংস্থাটির বরিশাল বাস ডিপোর ব্যবস্থাপকের সাথে আলাপ করা হলে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। তবে পরিস্থিতি উন্নয়নে কর্তৃপক্ষ সব সময়ই চেষ্টা করছেন বলে জানান। পরিস্থিতি আগের যেকোন সময়ের চেয়ে অনেক ভালো বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।