পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সারা দেশেই বিআরটিসির বাসে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া কার্যকর করা হয়েছে। হাফ ভাড়া আদায়ে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য প্রতিদিন বিভিন্ন বাস ডিপোর ম্যানেজার ও ইউনিট প্রধান তদারকি করছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ঢাকায় প্রতিদিন ১০টি বাস পরিদর্শন করছেন। এ কারণে বিআরটিসির বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিয়ে সমস্যা হচ্ছে না। হাফ ভাড়ার বিষয়টি বিআরটিসি প্রধান কার্যালয় থেকে তদারকি করা হচ্ছে, প্রতিদিন তদারকির পর পরিস্থিতি বুঝে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।বিআরটিসি চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম মঙ্গলবার এসব কথা বলেন। বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেন। বিআরটিসির বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া আদায় চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিআরটিসি বাসে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া চালু করায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বেগবান হয়নি। বিআরটিসিকে সবার সহযোগিতায় তুলে ধরা সম্ভব। বিআরটিসি একটি অবস্থানে দাঁড়াতে পারলে মানুষ তার সুফল আরও পাবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিআরটিসির সব বাসে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া কার্যকরের বিষয়টি বলেছেন। আমাদের মাননীয় মন্ত্রী (সড়কমন্ত্রী) এর ঘোষণা দিয়েছেন। গত ১ ডিসেম্বর থেকে এই হাফ ভাড়া কার্যকর হয়েছে। যখন শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া আন্দোলন শুরু হয়েছিল- তখন মন্ত্রী ও সচিব মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক দেশে অনানুষ্ঠানিকভাবে আমরা হাফ ভাড়া চালু করি। আমরা আমাদের সংশ্লিষ্ট সব ডিপো ম্যানেজারসহ অংশীজনদের বলে দিয়েছি- বিআরটিসির বাসে কোনো শিক্ষার্থী যদি উঠে, তারা যদি হাফ ভাড়া দিতে চায়- কোনো বাক-বিতণ্ডায় জড়ানো যাবে না। তারা যে পরিমাণ ভাড়া দিতে চাইবে তা নিতে বাধ্য থাকবে, বলেন তিনি।
বিআরটিসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা মনে করি যে, বিআরটিসিতে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া চালুর এই উদ্যোগ ও প্রচারের ফলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বেগবান হতে পারেনি। জ্বালানি তেলের দাম যখন বৃদ্ধি পেল- তারপর সড়ক ও মহাসড়কে বেসরকারি বাস চলাচল বন্ধ ছিল চার দিন, সে সময়ও বিআরটিসির বাস সারা দেশে পরিচালনা অব্যাহত রাখা হয়েছে। তখন বিআরটিসির বাস ও ট্রিপ বাড়ানোর প্রচেষ্টা আমাদের ছিল। যার কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মতো এলাকায় পর্যটকেরা আটকা পড়েননি।
তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেকটি রুটে বিআরটিসির বাস ডিপো ম্যানেজার ও ইউনিট প্রধানদের বলেছি- তারা প্রতিদিন ৫ থেকে ১০টি বাস পরিদর্শন করবেন। হাফ ভাড়া আদায়ে কোনো সমস্যা আছে কিনা তা তারা দেখছেন। বিআরটিসির প্রধান কার্যালয় থেকে মনিটরিং করছি আমরা। ঢাকার বিষয়ে আমরা অত্যন্ত সতর্ক। ঢাকায় প্রতিনিয়ত আমাদের প্রধান কার্যালয় থেকে প্রত্যেক দিন কমপক্ষে তিনটি টিম বের হচ্ছে। প্রত্যেক ডিপো ম্যানেজার প্রত্যেক দিন ১০টি বাস পরিদর্শন করছেন, প্রতিবেদন দিচ্ছেন। সেগুলো আমরা বিআরটিসি প্রধান কার্যালয় থেকে সমন্বয় করি। আমরা অফিসের সময় শেষে রাত ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করি- পরিস্থিতি বুঝে কঠোর নির্দেশনা দেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।