রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
দীপন বিশ্বাস, উখিয়া (কক্সবাজার) থেকে
কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালীস্থ মৌলভী আবদুল লতিফ ওয়াক্ফ এস্টেটের ভূ-সম্পত্তি স্থানীয় দুর্লোভী শক্তিধররা অশুভ কায়দায় জবর দখলের পাঁয়তারা করছে। দায়িত্বরত এস্টেট মোতোয়াল্লীকে চিহ্নিত শক্তিধররা স্ব-স্ব মোবাইল থেকে দফায় দফায় প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা নিয়ে বৃহত্তর আনজুমান পাড়ায় যে কোন মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটতে পারে বলে সচেতন মহল আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে উখিয়া থানায় একটি জিডি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে বৃত্তিভোগীসহ এলাকার শান্তিপ্রিয় জনসাধারণ। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বাংলাদেশ ওয়াক্ফ প্রশাসক কর্তৃক বিগত ১৯২৭ সালে অনুমোদিত পালংখালী ইউনিয়নের আনজুমান পাড়াস্থ মৌলভী আবদুল লতিফ ওয়াক্ফ এস্টেট (ইসি নং-৪২৩৯)। ওই ওয়াক্ফ এস্টেটের সংশ্লিষ্ট বৃত্তিভোগী সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে নিয়োগকৃত মোতোয়াল্লী লতিফ আনোয়ার চৌধুরী প্রকাশ খোকা বাংলাদেশ ওয়াক্ফ প্রশাসকের প্রদত্ত নিয়মাবলী অনুসরণপূর্বক দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি উক্ত এস্টেটের নিয়ম মোতাবেক ৯শ একর সম্পত্তি সংরক্ষণ তহবিল, বৃত্তিদান তহবিল, লিল্লাহ তহবিল, রিজার্ভ ফান্ড ইত্যাদি রক্ষা ও জনগুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি সাফল্যজনক ভিত্তিতে পালন করে আসছেন। দায়িত্বরত মোতোয়াল্লী ও এলাকার উপকারভোগীদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বৃহত্তর আনজুমান পাড়াস্থ মরহুম মৌলভী আব্দুল লতিফ ওয়াক্ফ এস্টেটের আওতাধীন পালংখালী মৌজায় প্রায় ৯শ একর ভূ-সম্পত্তি রয়েছে। উক্ত জমি এলাকার লোকজনেরা প্রতিবছর মৌসুমে দায়িত্বরত্ব এস্টেট মোতোয়াল্লী হতে বর্গা/ইজারা নিয়ে ধান চাষ, মৎস্য চাষ ও লবণ চাষাবাদসহ বিভিন্ন শাকসবজির উৎপাদন করে আসছে। উক্ত এলাকার ভূমিহীন, প্রান্তিক কৃষকসহ হাজার অধিক নারী-পুরুষের উক্ত এস্টেটের অভ্যন্তরে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি তাদের জীবন-জীবিকার সাফল্যজনক ছোঁয়া পেয়ে আসছে। এদিকে সম্প্রতি এলাকার কতিপয় দুর্লোভী, স্বার্থন্বেষী ও অশুভ শক্তিধর মহল উক্ত এস্টেটের বর্তমান মোতোয়ালী হতে মোটা অংকের চাঁদাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে না পেরে বিভিন্ন মোবাইল থেকে মোতোয়ালী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকিসহ অপহরণের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগে প্রকাশ। উক্ত ঘটনার ব্যাপারে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এবং প্রশাসনকে মোতোয়ালী লতিফ আনোয়ার চৌধুরী খোকা তার মোবাইলের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত করার পাশাপাশি থানায় সাধারণ ডায়রিও লিপিবদ্ধ করেছেন। বর্তমানে উক্ত এস্টেট অধ্যুষিত এলাকায় সংঘবদ্ধ শক্তিধর মহল ও তাদের লালিত সন্ত্রাসী সদস্যরা মোতোয়ালীকে পাহারা দিচ্ছে। এলাকার আইনশৃঙ্খলা সুরক্ষার্থে স্থানীয় সচেতন গ্রামবাসী পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।