গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
সমুদ্রে মহীসোপান বা কন্টিন্টোলশেল্ফের সীমানা নির্ধারণ একটি মিমাংসিত বিষয়। ভারতের নতুন দাবি আন্তর্জাতিক আইনের বিরোধী। তাই বাংলাদেশের পক্ষে রায় পেতে বৈশ্বিক জনমত গড়ে তোলা প্রয়োজন। জোরালো অবস্থান না নিলে অতীতের মতো ফের হারতে হবে বাংলাদেশকে। নাগরিক ফোরামের এক আলোচনা সভায় এমন মতামত দিয়েছেন অতিথিরা।
আজ ২৭ নভেম্বর (শনিবার) নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে (৩য়তলা) “সমুদ্রে সার্বভৌমত্ব : আইনী অধিকারে কতদূর বাংলাদেশ’’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় আগত অতিথিরা এসব মতামত দেন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর(অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বীরবিক্রম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ভূ-রাজনৈতিক ও সমুদ্র বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আব্দুর রব।
অনুষ্ঠানে ‘অসীম সম্ভাবনার সমুদ্রসম্পদ’ বিষয়ে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহিল মাসুদ। মূলপ্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, ‘‘বিশ্বের জীবজগতের ৯৫ শতাংশই সমুদ্রে অর্থাৎ পৃথিবীতে যে জীব-জগতের যে অংশটুকু দেখতে পাচ্ছি তা মাত্র পাঁচ শতাংশ। এজন্য ভবিষ্যতে পৃথিবীবাসীর খাদ্য, প্রোটিন ও জীবনধারণের অক্সিজেনের একমাত্র প্রধান উৎসে পরিণত হবে এই সমুদ্র।
প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, বঙ্গোপসাগরের তীরেই অবস্থিত বাংলাদেশ। ভৌগোলিকভাবে এর কম সুবিধাসম্পন্ন এলাকা পৃথিবীর কোনো দেশেই নেই। পৃথিবীর মধ্যে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল দিয়েই সমুদ্রপথে ৯০ শতাংশ জাহাজ চলাচল করে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ সম্পন্ন হলে আরও কয়েকটি দেশ ব্যবহার করতে পারবে। তখন বন্দর ফি দিয়েও আমাদের অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে। শুধু শিপব্রেকিং ও শিপবিল্ডিং খাত থেকে বাংলাদেশের বর্তমান জিডিপির সমান অর্থ আয় করা সম্ভব একটিমাত্র খাত থেকেই।
২০১৪ সালেই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার বিরোধ নিস্পত্তি হয়েছে। দুই দেশই এটিকে বিজয় হিসেবে দেখেছে। যদিও বাংলাদেশকে সমুদ্রসীমার বড় একটি অংশ হারাতে হয়েছে। ওই ইস্যু নিয়ে তখনও বাংলাদেশে প্রশ্ন উঠেছিল। এখন আবার আন্তর্জাতিক রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে সাগর দখল করতে চায় ভারত। মাটি চাপা দেওয়ার পর এখন তা তলিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।
আলোচনা সভায সঞ্চালনা করেন নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ হোসেন। বক্তব্য রাখেন কৃষিবিদ শামীমুর রহমান, অ্যাডভোকেট মো. হেলাল উদ্দিন, এম জহির আলী, সাইফুর রহমান মিহির, নেছার আহমেদ নান্নু, আব্দুল হাই সিদ্দিকী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।