পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যশোরের চৌগাছায় প্রতিবেশি মামা বাড়িতে যাওয়ার সময় ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী (১৪) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় দুই যুবকে আটক করা হয়। ২ ধর্ষক উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের আরাজি সুলতানপুর গ্রামের শাহজাহানের ছেলে এক সন্তানের জনক সোহাগ হোসেন (২৫) ও বিটুল হোসেনের ছেলে বিপ্লব হোসেনকে (২৩) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছে দুই ধর্ষক।
গত ২৪ নভেম্বর রাত সাড়ে সাতটা দিকে উপজেলার একটি গ্র্রামে এ ঘটনা ঘটে। গত ২৫ নভেম্বর দুপুরে ওই ছাত্রীর মা চৌগাছা থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর পুলিশ রাতে দুই আসামিকে গ্রেফতার করে।
ছাত্রীটির মায়ের লিখিত এজহারে জানা যায়, মেয়েটি উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে লোখাপড়া করে। বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে বিদ্যালয়ের পাশের গ্রাম আরাজি সুলতানপুরের বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক সোহাগ তাকে বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দিতো। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে আমার মেয়ের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলো। গত ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যার পর মেয়েটি প্রতিবেশি মামা জনৈক আলমের বাড়ি যাচ্ছিল। এসময় গ্রামের রাস্তায় কেউ না থাকার সুযোগে সোহাগ নিজ গ্রামের বিপ্লবের সহায়তায় আমার মেয়ের মুখ চেঁপে ধরে জনৈক সুশংকর পরামানিকের কলাবাগানে নিয়ে যায়। তখন মেয়েটি চিৎকার করলে আসামিরা তাকে হত্যার হুমকি দেয়। পরে তারা জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে আমরা মেয়ে বাড়িতে না আসায় তাকে খুঁজতে বের হয়ে রাত আটটার দিকে সুশংকরের কলাবাগানে তাকে কান্নারত বিধস্ত অবস্থায় দেখে উদ্ধার করি। মেয়ের নিকট বিস্তারিত জানার পর থানায় অভিযোগ করছি।
চৌগাছা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তিনি জানান, মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মেয়েটির মায়ের করা মামলায় গতকাল শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আসামিদের জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।