Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ত্রিপুরায় প্রহসনের ভোট, পুনর্নির্বাচনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে তৃণমূল

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ নভেম্বর, ২০২১, ৭:৪২ পিএম

ভোট মিটতে না মিটতেই ত্রিপুরায় ফের নতুন করে নির্বাচনের দাবি তুলল তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএম‍| রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল বামেরা। তাদের দাবি, আগরতলার প্রতিটি ওয়ার্ডে নতুন করে ভোটগ্রহণ করতে হবে। তাদের অভিযোগ, ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে ত্রিপুরায়। আর তাতে মদত দিয়েছে রাজ্যের বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকার।

ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটের অবজার্ভার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানা হয়নি। প্রশাসন নির্বিকার। অবাধে জালভোট হয়েছে। প্রায় ১০০ অভিযোগ আমরা ইসি’তে করেছি। এটা ভোট হয়নি।’ তৃণমূলের দাবি, ‘শুরু থেকেই বলেছি গণতন্ত্র বলে কিছু নেই এখানে। ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। গণতন্ত্রে শ্রেষ্ঠ উৎসব বলা হত আজকের দিনকে। ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন ছিঁড়ে দেয়া হয়েছিল আগেই। শাসক দল তাদের জনসমর্থন হারিয়েছে। সেই কারণে সকাল থেকেই এক তরফা ভাবে আক্রমণ চালিয়েছে। বহু প্রার্থী আক্রান্ত। কিন্তু সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারেনি। বিজেপির শেষের শুরু।’

তৃণমূলের দাবি, ভোট বাতিল করা হোক, শুক্রবারই পুনর্নিবাচনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে তার দল। রাজীবের বক্তব্য, ‘শাসক দলের বিধায়ক আর মুখ্যমন্ত্রী কী বলছেন সেটা তাদের নিজের ব্যাপার। তবে আমরা শাসক দলের বিধায়ককে কিছু বলতে বলিনি। শাসক দলের বিধায়ক মনে করছেন গণতন্ত্র বিপন্ন। তাই তিনি রাস্তায় নেমেছেন।’

অন্যদিকে, বামেরাও একই বিষয়ে সরব। সিপিএমের অভিযোগ, নিয়ম থাকা সত্ত্বেও তাদের দলের পোলিং এজেন্টদের বুথে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বুথের ভিতরে সাংবাদিকদের ঢুকতেও বাধা দেওয়া হয়েছে। সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, তারা পুলিশ এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাতে ফোন করেছিলেন। অভিযোগ, সেই ফোনও ধরা হয়নি। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘রাজ্যের বিজেপি সরকার পুরভোটে দিনদুপুরে গণতন্ত্রের অমাবস্যা নামিয়ে এনেছে। ভোটের মতো একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করেছে ওরা।’

আগরতলা-সহ ত্রিপুরার ১৩টি পুর এলাকার ২২২টি আসনে ভোট ছিল বৃহস্পতিবার। সেই ভোটের প্রচারে ত্রিপুরায় ব্যাপক সহিংসতার অভিযোগ ওঠে। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত ত্রিপুরা সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায়। সহিংসতা ঠেকাতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানাতে বলে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশও দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টের তরফে। সূত্র: নিউজ ১৮।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ