মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কিম রাজার আপন দেশে আইনকানুন সর্বনেশে। উত্তর কোরিয়া গোটা বিশ্বের কাছেই এক বিস্ময়ের দেশ। কিম জং উনের রাজত্বে সেখানে বারংবার উদ্ভট দেশ শাসনের প্রমাণ মিলেছে। সম্প্রতি তেমনই এক ঘটনা সামনে এল। নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ ‘স্কুইড গেম’-এর বেআইনি কপি বিক্রি করার অপরাধে গুলি করে মারার সাজা দেওয়া হয়েছে অভিযুক্তকে। কপিটি যে শিক্ষার্থী কিনেছিল তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাইরেসি নিয়ে কড়াকড়ি সব দেশেই রয়েছে। কিন্তু অন্য বহু বিষয়ের মতোই এখানেও উত্তর কোরিয়া যেন চরম শাস্তিদান করে এবিষয়ে ছাপিয়ে গেল সবাইকে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘রেডিও ফ্রি এশিয়া’র সূত্রে জানা যাচ্ছে, এক বেআইনি ব্যবসায়ী চীন থেকে আমদানি করেছিলেন ‘স্কুইড গেম’-এর কপি। তারপর ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভে সেটি বিক্রি করতে শুরু করেন তিনি। এরপরই বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। বিচারে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় অভিযুক্তকে। তাঁকে ফায়ারিং স্কোয়াডে দাঁড় করিয়ে গুলি করে মারা হবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ক্রেতা শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। সেই সঙ্গে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আরও ছ’জনকে ওই সিরিজ দেখার অপরাধে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
কী করে ধরা পড়ল বিষয়টি? এক সূত্র জানিয়েছে, হাইস্কুলের ওই ছাত্রটি গোপনে ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভটি স্কুলে নিয়ে এসেছিল গত সপ্তাহে। তারপর ক্লাসেই প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে সেটি দেখেও ফেলে সে। ক্রমে বাকি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে ‘স্কুইড গেম’ দেখার কথা। এরপরই সেদেশের প্রশাসনের কাছে পোঁছে যায় খবর।
কবল অভিযুক্তদের পাকড়াও করে সাজা শুনিয়েই ক্ষান্ত নয় কিম প্রশাসন, ইতোমধ্যেই দেশের নানা বাজার, দোকানে চালানো হচ্ছে কড়া তল্লাশি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে আরও কেউ এ ধরনের বেআইনি সিডি কিংবা ফ্ল্যাশ ড্রাইভ কিনেছে কিনা। সূত্র জানাচ্ছে, কার্যতই ভয়ে কাঁপছে এ ধরনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বাকিরা। তারা জানেন, যে কোনও সময়ই তাঁদের উপরে নেমে আসতে কড়া শাস্তির খাঁড়া।
উল্লেখ্য, ‘স্কুইড গেম’ দক্ষিণ কোরিয়ায় তৈরি এক ড্রামা সিরিজ। সেখানে দেখা গেছে এমন এক প্রতিযোগিতার কথা, যেখানে ঋণের দায়ে ডুবে থাকা লোকজন অংশ নেয়। জিততে পারলে মিলবে বিরাট আর্থিক পুরস্কার। হেরে গেলেই মরতে হবে। জীবনমৃত্যুর দোলায় দুলতে থাকা সেই ‘স্কুইড গেম’ বাস্তবেও তৈরি করল মৃত্যুর আবহ। এমন সমাপতনের খবরে বিস্মিত গোটা বিশ্ব। সূত্র : নিউ ইয়র্ক পোস্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।