বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এতে তার বরখাস্তের কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন পদে অযৌক্তিক লোকবল নিয়োগ, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ভুয়া বিলসহ বিভিন্ন অভিযোগ।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. জহিরুল আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশন আইন-২০১৯ এর ধারা ১২ (২) অনুযায়ী সুষ্ঠু তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হল। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিধিনিষেধ পরিপন্থী কার্যকলাপ, দুর্নীতি ও ইচ্ছাকৃত অপশাসনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মেয়র জাহাঙ্গীর সিটি করপোরেশন আইন-২০১৯ এর ধারা ১৩ (১) (ঘ) অনুযায়ী ‘অপসারণযোগ্য অপরাধ’ করেছেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, গাজীপুরের সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ভুয়া টেন্ডার, আরএফকিউ, বিভিন্ন পদে অযৌক্তিক লোকবল নিয়োগ, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে ও একই কাজ বিভিন্ন প্রকল্পে দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতি বছর হাট বাজার ইজারার অর্থ যথাযথভাবে নির্ধারিত খাতে জমা না রাখাসহ নানাবিধ অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে।
ভূমি দখল ও ক্ষতিপূরণ ব্যতিত রাস্তা প্রশস্তকরণ সংক্রান্ত প্রাপ্ত অভিযোগের বিষয়ে সিটি করপোরেশন মতামত জানতে চাওয়া হলে এখনও পর্যন্ত উত্তর পাওয়া যায়নি।
মেয়র জাহাঙ্গীরকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর সিটি করপোরেশন আইন-২০১৯ এর ২০(২) ধারা মতে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তিন জন কাউন্সিলরের সমন্বয়ে একটি প্যানেল গঠন করা হয়েছে। তারা হলেন- গাজীপুরের ৪৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসাদুর রহমান কিরন, ৫২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো, আব্দুল আলীম মোল্লা ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড-১০ এর কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার।
এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে কটূক্তির দায়ে গত শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের গাজীপুর মহানগরীর সাধারণ সম্পাদকের পদ হারান মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। তার দলীয় সদস্যপদও বাতিল করা হয়।
জাহাঙ্গীরের বিষয়ে যা বললেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীরকে বরখাস্তের বিষয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আছে। এর মধ্যে সরকারি সম্পদের অপব্যবহার, জনগণের স্বার্থবিরোধী কাজ করা, জায়গা দখল, অর্থ আত্মসাৎ, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগ আছে। সেগুলো তদন্তের স্বার্থে এখন বলা যাচ্ছে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু আইন অনুযায়ী কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি/ মেয়রের বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ ওঠে এবং তদন্তের নিষ্পত্তির জন্য আমলে নেওয়া হয় তাহলে আইনে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার নিয়ম আছে।’
জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন কবে দেওয়া হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তার (জাহাঙ্গীর) বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের নথি আমলে নিয়েছি। ইতোমধ্যে তদন্ত আরম্ভ হয়েছে। কত দিন লাগতে পারে সেটি এখন বলা মুশকিল। তদন্তে নতুন অনেক কিছু যুক্ত হতে পারে।’
ইতোমধ্যে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো নিয়ে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।