বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠছে রাজশাহী। মন্তব্যকারী কাটাখালি পৌরসভার মেয়রকে গ্রেফতারের দাবিতে গতকাল সকাল থেকেই রাজশাহী মহানগর এবং কাটাকালি পৌর এলাকাতেও নানা প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এছাড়াও আব্বাসের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে তিনটি মামলা। এর মধ্যে দুটি মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণ করেছে পুলিশ।
গতকাল সকালে রাজশাহী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ব্যানারে নগরীর জিরোপয়েন্টে মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে আইনগগত ব্যবস্থা নেয়া ও তাকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইশতিয়াক আহমেদ লিমন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন প্রমাণিক প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করার একটি অডিও ঘুরছে হাতে হাতে। এ নিয়ে দলের মধ্যে শুরু হয়েছে তোলপাড়। সাধারণ মানুষও বেশ উৎসুক। অডিওতে শোনা যায় ‘সিটি গেট আমার অংশে। একটি ফার্মকে দিয়েছে তারা বিদেশী স্টাইলে সাজিয়ে দিবে, ফুটপাত, সাইকেল লেন টোটাল আমার অংশটা। কিন্তু একটু থেমে গেছি গেটটা নিয়ে। একটু চেঞ্জ করতে হচ্ছে যে মুর্যালটা দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর সেটা ইসলামী শরীয়ত মতে সঠিক নয়। এ জন্য আমি ওটা থুব না, সব করবো তবে শেষ মাথাতে যেটা ওটা (মুর্যাল)।’
তিনি আরো বলেন, ‘ইসলামের দৃষ্টিতে পাপ.. সে জন্য রাজশাহী সিটি গেটে বঙ্গবন্ধুর মুর্যাল বসাতে দিবো না। দরকার হলে জীবন দিয়ে প্রতিহত করবো’। আব্বাস আলীর এক মিনিট একান্ন সেকেন্ডের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তার এমন বক্তব্যে রাজশাহীজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। যদিও পুরো ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন মেয়র আব্বাস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।