বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশাল মহানগরীর শহিদ জিয়া সড়কে মোঃ রেজাউল করিম বাদল তুরস্ক প্রজাতির দুম্বা পালনে ব্যপক সফলতা অর্জনের মাধ্যমে ছোট আকারের নিজস্ব খামার গড়ে তুলেছেন। এখন তার খামারে ৫৬টি তুর্কি দুম্বা ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির দুশ ছাগল রয়েছে। নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন জিয়া সড়কের লোহার পুল এলাকার বাদল মূলত একজন বই ব্যবসায়ী। কিন্তু ২০১৮ সালে সখের বসে মেহেরপুর থেকে দুটি তুর্কি দুম্বা ও খুলনা থেকে ৪টি ব্লাক বেঙ্গল প্রজাতির ছাগল সংগ্রহ করে লালন পালন শুরু করেন বাদল। এসব প্রাণির লালন পালন তারে কাছে সহজসাধ্য ও ঝুকিমূক্ত মনে হওয়ায় কিছু দিন পরে আরো দুলাখ টাকা বিনয়োগ করে নিজ বাড়ীতে ছাগল ও দুম্বার খামার গড়ার কাজ শুরু করেন।
এরপরে আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এখন রেজাউল করিম বাদলের খামারে ৫৬টি তুর্কি দুম্বা ছাড়াও ২শর মত ব্লাক ব্যাঙ্গল, তোতাপাড়ি, বৃটল, গুজরী ও দেশী বিভিন্ন প্রজাতির অত্যন্ত হৃস্টপুষ্ট ছাগল রয়েছে। ৬জন শ্রমিক সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত এসব প্রাণির সেবাযতাœ করছেন। শ্রমিকদের পেছনে মাসে লক্ষাধীক টাকা ব্যায় ছাড়াও ছাগল ও দুম্বার জন্য তিনবেলা দেশীয় ঘাষ এবং গম ও ভুট্টার ভুষি খাবার খরচ মিলিয়ে মাসে তার আরো প্রায় দেড় লাখ টাকা ব্যায় করতে হচ্ছে। সাথে বিশুদ্ধ পানি। তবে তিন মাস পর পর বাদল তার খামারের ছাগল ও দুম্বা বিক্রী করে এখন ৭Ñ৮ লাখ টাকা আয় করছেন। বাদলের খামারের ছাগল ও দুম্বার খ্যাতি ইতোমধ্যে ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে যারা নিজস্ব বা বানিজ্যিক খামার গড়ছেন, তারা বাদলের খামার থেকে ছাগলের বাচ্চা সংগ্রহ করছেন।
মরুদেশের প্রাণি দুম্বা আমাদের আবহাওয়া সাথে মানিয়ে নিয়ে ছাগলের সাথে একই খাবার খাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন বাদল। আগামী বছর দশেকের মধ্যেই একটি পূর্ণঙ্গ দুম্বার খামারের সাথে ছাগলের বড় খামার প্রতিষ্ঠা করে এসময়ের মধ্যে নগরীর অন্তত ২০ভাগ মানুষের কাছে কোরবানির পশু সরবারহ করার কথাও জানালেন বাদল। তারমতে মূলত মরু অঞ্চলের প্রাণি হলেও দুম্বা আমাদের দেশের আবহাওয়ার সাথে ইতোমধ্যে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। তার এ খামার প্রতিষ্ঠা এবং দুম্বা ও ছাগলগুলোর পরিচর্জা সহ চিকিৎসা ব্যবস্থাপানার বিষয়ে জেলা প্রণি সম্পদ অধিদপ্তর পরামর্শ সেবা প্রদান করছে বলে রেজাউেল করিম বাদল জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রণি সম্পদ কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডাঃ নুরুল আলম জানান, ‘আমরা বাদলের খামারটিকে সার্বক্ষনিক অবর্জাভেশনে রেখেছি, মরু দেশের এ প্রাণি আমাদের আবহাওয়ার সাথে কতটা এ্যাডযাষ্ট করতে পারে, সেটিই মূলত এখনো দেখার বিষয়। আবহাওয়ার সাথে টেকসই হলে এ প্রাণি পালনে ভবিষ্যত ভাল’ বলেও জানান তিনি। তবে সদ্য বিদায়ী বিভাগীয় পরিচালকের সাথে অলাপ করা হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।
তুরস্ক প্রজাতির এসব দুম্বা প্রতি ৬Ñ৮ মাস পরেই বাচ্চা দিচ্ছে। পাশাপাশি সঠিক পরিচর্জা ও সমন্বিত খাবার পেলে বাচ্চাগুলো এক বছরের মধ্যেই প্রায় ৮০ কেজি ওজনের হবার পরে তা বিক্রীর উপযোগী হচ্ছে। ফলে এসব প্রাণি বিক্রী করে ভাল মুনফা অর্জন সম্ভব বলে জানান খামারি বাদল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।