পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, আগামী বছর থেকে দেশে করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদন শুরু করতে পারবো। তিনি বলেন, বেসরকারিভাবে ইনসেপ্টা ও বেক্সিমকো কাজ করলেও আরও কয়েকটি কোম্পানি টিকা উৎপাদন নিয়ে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে আন্তরিক। তিনিও চান দেশে টিকা উৎপাদন হোক। এজন্য যে কোনো ধরনের সুযোগ সুবিধা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এ অবস্থায় আমি বিশ্বাস করি, আগামী বছর থেকে বাংলাদেশে টিকা উৎপাদন শুরু হবে।
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমান এ সব কথা বলেন। মিট দ্য রিপোর্টার্সে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউর সভাপতি মুরসালিন নোমানী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান। অনুষ্ঠানে ডিআরইউ’র সহ-সভাপতি ওসমান গনি বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সালমান এফ রহমান বলেন, চীন যে বিশেষ ধরনের টিকা তৈরি করে সেটি ইনসেপ্টার বানানোর সক্ষমতা আছে। তাদের সঙ্গে চীনের টার্ম অ্যান্ড কন্ডিশন চূড়ান্ত হলেই টিকা উৎপাদন শুরু করতে পারবে। এর পাশাপাশি বেক্সিমকোও টিকা উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু করেছে। আশা করি আগামী ৪ থেকে ৬ মাসের মধ্যে বেক্সিমকোও টিকা উৎপাদনের কার্যক্রম শেষ করতে পারবে। তারপরও আমরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টিকা উৎপাদনকারী কোম্পানির সঙ্গে কথা বলছি।
সালমান এফ রহমান বলেন, করোনা মহামারির বর্তমান অবস্থায় আগামী এক থেকে দুই বছর টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। টিকা দেয়ার পরও এখনো করোনা ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। ফলে আলোচনায় আসছে বুস্টার ডোজ দেয়ার। সে বিষয়টিও আলোচনায় আছে।
তিনি বলেন, ভারত থেকে আমরা সর্বপ্রথম সবচেয়ে কম দামে ভ্যাকসিন আমদানি করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী উদ্যোগের ফলে বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে আমরা দ্রুত ভ্যাকসিন পেয়েছি।
এছাড়া ভারতের সেরাম থেকে কেনা অক্সফোর্ডের টিকার বাকি অংশ আগামী মাস থেকে আসা শুরু করবে বলে জানান তিনি। আগামী বছরের প্রথম ৩ মাসের মধ্যে পুরোটাই পাওয়া যাবে জানান সালমান এফ রহমান।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, জ্বালানি তেলের দামের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলেছেন। তবে আমার মনে হয় এটি কমে আসবে। দাম কমে আগের পর্যায়ে না গেলেও এটি কমবে। তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে যে পরিবহনের ভাড়া বেড়েছে তা কিন্ত নয়। বরং শিপিংয়ের খরচ অনেক বেড়ে গেছে। শিপিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত কন্টেনারের পরিবহনেও খরচ অনেক বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ছে তাই দেশে বাজারে তেলের মূল্য বাড়ানো হয়েছে, সরকার আর কত ভর্তুকি দেবে? তবে বিশ্ব পরিস্থিতির বিবেচনায় বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কমে আসলে আস্তে আস্তে দেশেও এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন তিনি।
পুঁজিবাজার নিয়ে এ শিল্পোদ্যোক্তা বলেন, আমাদের দেশের পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী নেই বললেই চলে। এখানে যে লেনদেন হয় তার ৮০ শতাংশ আসে রিটেল বা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে। বাকি ২০ শতাংশ আসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে। অর্থাৎ উন্নত বিশ্বের পুঁজিবাজারের চিত্র পুরো উল্টো বাংলাদেশে। আমাদের পুঁজিবাজার ইক্যুইটি ভিত্তিক। এখানে বন্ড মার্কেট নেই। বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। বর্তমান চেয়ারম্যান ও কমিশনারও এ বিষয়ে আন্তরিক। আশা করায় যায়, বন্ড মার্কেট জনপ্রিয় হলে পুঁজিবাজার চাঙ্গা হবে।
ঋণখেলাপি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, আমাদের ব্যাংক সেক্টরে ঋণখেলাপি আছে। সমস্যা হলো-আমরা শর্টটার্ম ডিপোজিট ব্যবহার করে লংটার্ম লোন দিচ্ছি। এটা মিস ম্যাচ। এই মিস ম্যাচের কারণেও সমস্যা হচ্ছে না। কারণ আমাদের অর্থনীতি গ্রো করছে। ঋণখেলাপি বেসরকারি ব্যাংকে কম। সরকারিতে আছে কিছু। এটা সব দেশেই আছে। প্রভিশনিং ও ক্যাপিটাল থাকলে সমস্যা না।
সালমান এফ রহমান বলেন, আমাদের দেশে ক্যাপিটাল ছোট এমন অনেক ব্যাংক আছে। এ কারণে ভবিষ্যতে আমাদের এই ব্যাংকগুলোকে মার্জ করতে হবে। এগুলো মার্জ করে বড় ক্যাপিটালের ব্যাংক করতে হবে।
আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে ঢাকার ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট সম্পন্ন হলে ঢাকার পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। তার মতে, বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রেই নয়, দেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে কিছু সংস্কার প্রয়োজন। নতুন নতুন ট্যাক্স গ্রাহক বা ট্যাক্সের আওতা বাড়াতেও তিনি পরামর্শ দেন।
এক প্রশ্নের জবাবে দেশের অন্যতম এ শিল্পোদ্যোক্তা বলেন, দেশে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপব্যবহার করা ঠিক হবে না। সর্বপরি এই আইনের একটি বিশেষ ধারাকে টার্গেট করে ব্যবহার করাটাও ঠিক নয়।
অনুষ্ঠানে অপচয় রোধে অতিথি হিসেবে ক্রেস্ট ও ফুল না দিয়ে একটি সার্টিফিকেট বাঁধাই করে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
তিনি বলেছেন, আমি প্রচলনটা শুরু করেছি। বিষয়টি বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নতুন নেতাদের বলেছি। এখন আপনাদেরও বলছি। আমাকে অতিথি হিসেবে যে ফুল ও ক্রেস্ট দিচ্ছেন, সেটি না দিয়ে এ টাকাটা একটা চ্যারিটি ফান্ডে দিন।
সালমান এফ রহমান বলেন, আমি আশা করবো, ভবিষ্যতে সব প্রোগ্রামে আমার জন্য ক্রেস্ট ও ফুলের জন্য যে টাকা খরচ করবেন, এটা একটি চ্যারিটির জন্য ডোনেট করবেন। আমাকে এটা জানিয়ে দেবেন। আর কম টাকায় একটা সার্টিফিকেট বাঁধাই করে আমাকে দেবেন, আমি সেটা দেয়ালে টাঙিয়ে রাখবো। এ ক্রেস্ট হাজারো ক্রেস্টের মতো বক্সে চলে যাবে, যেটা কেউ দেখবে না।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।